Hair Straightening: পার্লারে গিয়ে চুল পার্মানেন্ট স্ট্রেট করাচ্ছেন? খারাপ হয়ে যেতে পারে কিডনি!

Kidney Damage: ওই যুবতী ২০২০ সাল থেকে চুল স্ট্রেট করাচ্ছিলেন। ২০২০ সালের জুন মাসে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ও ২০২২ সালের জুলাই মাসে তিনি চুল স্ট্রেট করেছিলেন। প্রতিবারই চুল স্ট্রেট করানোর পর ওই যুবতীর বমি হত, পেট খারাপ, জ্বর ও প্রচণ্ড পিঠ ব্যথা হত।

Hair Straightening: পার্লারে গিয়ে চুল পার্মানেন্ট স্ট্রেট করাচ্ছেন? খারাপ হয়ে যেতে পারে কিডনি!
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2024 | 5:21 PM

ওয়াশিংটন: চুল স্ট্রেট করানোই এখনকার ফ্যাশন ট্রেন্ড। কিন্তু এই চুল স্ট্রেট করাতে গিয়ে কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেন না। সকলেই জানেন যে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় চুল স্ট্রেট করতে। তার জন্য চুলের ব্যাপক ক্ষতিও হয়। কিন্তু তাই বলে কিডনি খারাপ হয়ে যাবে! অবিশ্বাস্য লাগলেও, এটাই সত্যি। এক যুবতীর চুল স্ট্রেট করাতে গিয়েই ভয়ঙ্কর পরিণতি হল। চিকিৎসকরা জানালেন, চুল স্ট্রেট করানোর ফলে তার কিডনি বিকল হয়ে গিয়েছে।

দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে। কেস স্টাডিতে বলা হয়েছে, ২৬ বছরের এক যুবতী চুল স্ট্রেট করানোর ফলে তাঁর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে। চুল স্ট্রেট করার জন্য স্যালনে যে কেমিক্যালযুক্ত পণ্যগুলি ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে একটি পণ্য থেকেই যুবতীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই যুবতী ২০২০ সাল থেকে চুল স্ট্রেট করাচ্ছিলেন। ২০২০ সালের জুন মাসে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ও ২০২২ সালের জুলাই মাসে তিনি চুল স্ট্রেট করেছিলেন। প্রতিবারই চুল স্ট্রেট করানোর পর ওই যুবতীর বমি হত, পেট খারাপ, জ্বর ও প্রচণ্ড পিঠ ব্যথা হত। যুবতী জানিয়েছেন, চুল স্ট্রেট করানোর সময় তাঁর স্ক্যাল্পে জ্বালা অনুভূতি হত। সেখান থেকে তাঁর মাথায় আলসারও হয়ে যায়।

এরপরই তিনি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। তাঁর লক্ষণ ও উপসর্গ দেখেই চিকিৎসকরা আন্দাজ করতে পারেন যে নিশ্চয়ই অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে। রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর ক্রিয়েটিনিন লেভেল অনেক বেশি। তাঁর প্রস্রাবেও রক্ত পাওয়া যায়। এরপরই চিকিৎসকরা তাঁকে সিটি স্ক্য়ান করাতে বলেন। কিন্তু সেই রিপোর্টে কোনও সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। শেষ অবধি চিকিৎসকরা সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে চুল স্ট্রেট করানো থেকেই তাঁর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্ট্রেটনিং ক্রিমে গ্লাইওক্সিলিক অ্যাসিড নামক এক ধরনের কেমিক্যাল থাকে, যা থেকে যুবতীর মাথার ত্বক পুড়ে গিয়েছে এবং আলসার তৈরি হয়েছে। মাথা থেকে এই অ্যাসিড শরীরে ঢুকে কিডনি অবধি পৌঁছয় এবং তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর অ্যাকুউট কিডনি ইনজুরি হয়েছিল অক্সালেট নেফ্রোপ্যাথি থেকে। এটা একধরনের বিরল ডিসঅর্ডার, যা কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।