Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh: জিনপিংকে হিমসাগর পাঠাচ্ছেন ইউনূস, পাশাপাশি গোঁফে তেল দিচ্ছেন কাঁঠাল পাকাতে

Bangladesh: শুক্রবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন মহম্মদ ইউনূস। এই বৈঠক প্রসঙ্গে সেদেশের প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানাচ্ছেন, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্য়ে নাকি বৈঠক 'অত্যন্ত সফল' হয়েছে।

Bangladesh: জিনপিংকে হিমসাগর পাঠাচ্ছেন ইউনূস, পাশাপাশি গোঁফে তেল দিচ্ছেন কাঁঠাল পাকাতে
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI | Getty Image
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2025 | 12:49 PM

ঢাকা: চিন সফরে গিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার রাতেই রওনা দিয়েছিলেন তিনি। বলা চলে, তাঁর বেজিং সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটা আজ অর্থাৎ শুক্রবারেই। এদিন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন তিনি। এই বৈঠক প্রসঙ্গে সেদেশের প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানাচ্ছেন, দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্য়ে নাকি বৈঠক ‘অত্যন্ত সফল’ হয়েছে।

চিন থেকে কী নিয়ে ফিরছেন ইউনূস?

সব ঠিক থাকলে, শনিবার তাঁদের রওনা দেওয়ার দিন। তার আগেই লাল ফৌজের দেশের প্রধানের সঙ্গে হয়ে গেল বৈঠক। সেদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই সফরে মোট ৯টি চুক্তি সাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও চিনের রাষ্ট্রপ্রধানরা। যার মধ্য়ে একটি চুক্তি সাক্ষর করা হয়েছে দুই দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে সুনিশ্চিত করতে। এছাড়াও সাক্ষর করা হয়েছে, ৮টি সমঝোতা পত্র বা MoU।

কী বিষয়ে MoU সাক্ষর করেছে চিন-বাংলাদেশ? জানা গিয়েছে, দুই দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, খবর আদান-প্রদান, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন বিনিময়-সহ একাধিক বিষয়ে সমঝোতা পত্র সাক্ষর করেছেন ইউনূস ও শি জিনপিং।

এদিন দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক প্রসঙ্গে প্রেস সচিব জানান, ‘গোটা আলোচনাটাই ফলপ্রসূ হয়েছে। চিনের প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টা ও তার অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে আছে বলেও জানিয়েছেন। এছাড়াও, আগামী দিনে চিন বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করতে চলেছে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মূলত, এ দেশের উৎপাদন শিল্পেই বিনিয়োগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে তারা।’

একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গতবছরই চিনের থেকে প্রায় ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ নেয় বাংলাদেশ। প্রেস সচিব জানাচ্ছেন, ‘সেই ঋণেই সুদের হার আরও একটু কমানোর জন্য আবেদন জানানো হয়। যা উনি বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’

তাঁর আরও দাবি, ‘ফুজিয়ান প্রদেশের গর্ভনর থাকাকালীন শি জিনপিং বাংলাদেশের আম-কাঁঠাল খেয়েছিলেন। এদিন বৈঠকের ফাঁকে নিজের সেই অতীত জীবনের কথা জানান তিনি। তাই আশা করা যায়, আসন্ন সময়ে বাংলাদেশ বিশেষ করে এই দু’টি ফলের রফতানি চিনে বাড়াতে চলেছে।’