Budget 2022: বাজেটে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বড় ঘোষণার উপর নজর, সরকার কি করবে নতুন ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম লঞ্চ?

Budget 2022: বাজেট ২০২১-এ কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় কোভিড টিকাকরণ প্রোগ্রাম লঞ্চ করেছিল। এই প্রোগ্রাম পুরো দেশে গত ২১ জুন লঞ্চ করা হয়েছিল। এই প্রোগ্রামে বলা হয়েছিল দেশে যে কোম্পানিগুলি টিকা তৈরি করে, তাদের নিজেদের মাসিক উৎপাদনের ২৫ শতাংশ প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে বিক্রি করার অধিকার রয়েছে। বাকি থাকা টিকা সরকার কিনবে আর বিনামূল্যে টিকাকরণ অভিযানে ব্যবহার করবে।

Budget 2022: বাজেটে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বড় ঘোষণার উপর নজর, সরকার কি করবে নতুন ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম লঞ্চ?
গ্রাফিক্স: অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 10:27 PM

নয়া দিল্লি: বাজেট পেশ হতে আর মাত্র হাতে গোনা দিনই বাকি রয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিন সাধারণ বাজেট ২০২২-২৩ পেশ করা হবে। কোভিড মহামারীর ঘোর সংকটের মধ্যেই এই বাজেট পেশ হতে চলেছে। আর তা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য অনেকটাই আশা করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিল্প জগতের মানুষরাও সরকারের কাছে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন। যেহেতু করোনা ভাইরাসের মহামারি এখনও থামেনি আর সময় সময় এই মহামারী বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, ফলে সকলের মনোযোগ এই বিষয়ে রয়েছে যে সরকার কী করোনার জন্য কোনও নতুন ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম লঞ্চ করবে!

গত বাজেটের দিকে তাকালে, সরকার সেই বাজেটে করোনার টিকাকরণের জন্য ৩৫,০০০ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করেছিল। এই ফান্ডেরই ফলাফল যে পুরো দেশে কোভিড টিকাকরণ অভিযানের অধীনে বিনামূল্যে টিকাকরণ চলছে। এটা অনেক বড় অভিযান কারণ ভারত প্রায় ১৩০ কোটি জনসংখ্যার দেশ। এর মধ্যে ১৫ বছর বয়সীদের বাদ দেওয়া হলে বাকি সমস্ত মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। মিডিয়ায় এমন রিপোর্ট রয়েছে যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

মার্চে বাচ্চাদের জন্য টিকাকরণ

এরপর মার্চ মাস থেকে ১২-১৫ বছরের বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হবে। এই টিকাকরণও বিনামূল্যে দেওয়া হবে আর সরকারকে কয়েক কোটি টাকা খরচা করতে হবে। এরপর আগামীতে বুস্টার ডোজেরও অভিযান চলবে। এই অবস্থায় প্রশ্ন রয়েছে য়ে সরকার কী কোভিডের টিকাকরণের জন্য কোনও আলাদা প্রোগ্রাম লঞ্চ করবে?

বাজেট ২০২১-এ কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় কোভিড টিকাকরণ প্রোগ্রাম লঞ্চ করেছিল। এই প্রোগ্রাম পুরো দেশে গত ২১ জুন লঞ্চ করা হয়েছিল। এই প্রোগ্রামে বলা হয়েছিল দেশে যে কোম্পানিগুলি টিকা তৈরি করে, তাদের নিজেদের মাসিক উৎপাদনের ২৫ শতাংশ প্রাইভেট হাসপাতালগুলিতে বিক্রি করার অধিকার রয়েছে। বাকি থাকা টিকা সরকার কিনবে আর বিনামূল্যে টিকাকরণ অভিযানে ব্যবহার করবে। যেহেতু গত আর্থিক বছর এখনও চলছে, এই কারণে জাতীয় কোভিড টিকাকরণ প্রোগ্রামও চলছে। আগামী বাজেটে সরকার এই প্রোগ্রামে কী সংশোধন করে, এর জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়ে না কমে, এটা দেখার বিষয় হবে।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

কোভিড টিকাকরণ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত আর এর খবরাখবর রাখা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে টিকার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ ভীষণই চ্যালেঞ্জিং আৎ এর জন্য কোল্ড স্টোরেজের প্রয়োজন হয়। বাজেটে সরকার যদি তার জন্য আলাদা করে অর্থ বরাদ্দ করে তাহলে কোভিডের ম্যানেজমেন্ট আর টিকা নষ্ট হওয়া আটকাতে সাহায্য পাওযা যাবে। যে কোনও টিকাকরণ অভিযানের সফলতার জন্য একটি ভরসাযোগ্য হিমঘর চেন ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। যদি সরকার হিমঘর চেন বানানোর জন্য জিএসটিতে কিছু ছাড় দেয় তাহলে বেশকিছু কোম্পানি এই কাজে নামবে আর টিকার রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার সমাধান হতে পারে।

এখন এই কাজের জন্য আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু বাজেটে এর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা হোক আর কোল্ড চেনের সঙ্গে যুক্ত আমদানি শুল্ককে কম করা হলে দেশেই হিমঘর নির্মাণের কারে গতি আসতে পারে। এই পদক্ষেপ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত উৎসাহ বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নতিতেও সাহায্য করবে। দেশেই বিশ্বস্তরের মেডিকেল কোল্ড চেন তৈরি হবে আর দেশের তক্ষমতা আর এই শিল্পে গতি আসবে। এতে রোজগার বাড়াতেও সাহায্য হবে।

আরও পড়ুন: Budget 2022: গরীবের হাতে আরও বেশি অর্থ দেওয়া প্রয়োজন- RAI