Budget 2022: গরীবের হাতে আরও বেশি অর্থ দেওয়া প্রয়োজন- RAI

Budget 2022: গরীব আর বেতনভূক মানুষের হাতে বেশি অর্থ দাবি করে আরএআই বলেছে, দু বছরের করোনা মহামারী গরীব শ্রেণির জনসংখ্যার বেশকিছু মানুষকে প্রভাবিত করেছে। রাজগোপালন বলেন, রিভার্স মাইগ্রেশন আর লকডাউনের কারণে বেশকিছু মানুষের চাকরি গিয়েছে। যে কোনও যোজনা যা গরীব শ্রেণির খরচের শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে, তাকে স্বাগত জানানো হবে।

Budget 2022: গরীবের হাতে আরও বেশি অর্থ দেওয়া প্রয়োজন- RAI
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 9:00 PM

নয়া দিল্লি: আগামী সপ্তাহে বাজেট পেশ হতে চলেছে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন। খুচরো বিক্রেতাদের সংগঠন রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (RAI) সরকারের কাছে রিটেল সেক্টরের জন্য এমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম (ECLGS) নিয়ে জরুরী পরামর্শ দিয়েছে। আরএআই-র বক্তব্য, করোনা ভাইরাসে প্রভাবিত হওয়া এই ক্ষেত্রের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির এমারজেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের প্রয়োজন রয়েছে। আরএআই নিজেদের বাজেট ইচ্ছা তালিকায় বলেছে, গরীবদের হাতে আরও বেশি টাকা দেওয়ার প্রয়োজন। দু বছরে মহামারী গরীব শ্রেণিদের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে।

আরএআইয়ের মুখ্য কার্যকরী আধিকারীক (CEO) কুমার রাজগোপালন একটি বয়ানে বলেছেন, করোনা সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে বেশি রেস্তোরাঁ, দোকান, সেলুনের ইত্যাদির মতো হাই কন্টেক্স সেক্টরকে প্রভাবিত করে। এই কারণে খুচরো ক্ষেত্রে ফাইনান্সের জন্য ইসিএলজিএস ঘোষণা করা উচিত।

তিনি বলেন, ‘যদিও, খুচরো ক্ষেত্রকে সম্প্রতি ক্ষুদ্র, কুটির আর মধ্যম শিল্পের (MSME) অধীনে অগ্রাধিকার দিয়ে ঋণ নির্দেশিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, কিন্তু এটা জরুরী যে সেগুলিকে এমএসএমই-র নীতির অধীনে সমর্থন দেওয়া হোক। কারণ ৯০ শতাংশ খুচরো ক্ষেত্রকে এমএসএমই হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে।’

ONDC-র মাধ্যমে রিটেল সেক্টরকে বাড়ানো যেতে পারে

তিনি বলেন, ‘ডিজিটালিকরণের জন্য আর্থিক সহায়তাও খুচরো ক্ষেত্রকে ভালভাবে উৎসাহ দিতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া ডিজিটাল কমার্সের জন্য ওপেন নেটওয়ার্কের (ONDC) মাধ্যমে খুচরো বিক্রেতাদের সক্ষম বানিয়ে এই ক্ষেত্রটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।’ পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) বাস্তবায়নের জন্য উন্নত দিকনির্দেশের দাবি জানিয়ে আরএআই বলেছে বস্ত্র, অন্ন আর বাসস্থানের উপর জিএসটির হারে যে কোনও বৃদ্ধিই বিক্রির উপর সোজা প্রভাব ফেলে। আরও অনুমানযোগ্য জিএসটি ব্যবস্থার জন্য একটি দিকনির্দেশকে স্বাগত জানানো হবে। এইভাবে, জিএসটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আর রিফান্ডের জন্য কিছু ধারার স্পষ্ট হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। রাজগোপালন বলেন যে, খুচরো আর আন্তরিক ব্যবসার জন্য একটি জাতীয় স্তরের নীতির নির্মাণ করতে দিকনির্দেশক সমর্থন সাহায্য করবে।

গরীব আর চাকুরীজীবী মানুষের হাতে আসুক বেশি অর্থ

গরীব আর বেতনভূক মানুষের হাতে বেশি অর্থ দাবি করে আরএআই বলেছে, দু বছরের করোনা মহামারী গরীব শ্রেণির জনসংখ্যার বেশকিছু মানুষকে প্রভাবিত করেছে। রাজগোপালন বলেন, রিভার্স মাইগ্রেশন আর লকডাউনের কারণে বেশকিছু মানুষের চাকরি গিয়েছে। যে কোনও যোজনা যা গরীব শ্রেণির খরচের শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে, তাকে স্বাগত জানানো হবে। একইভাবে, বেতনভূক শ্রেণির হাতেও আর অর্থ আসার আবশ্যকতা রয়েছে, যাতে তাদের বিশ্বাসের সঙ্গে উপভোগ করতে সাহায্য হয়। ক্রমবৃদ্ধিমান মূল্যবৃদ্ধি চিন্তার বিষয় আর গ্রাহক শ্রেণির কাছে বেশি অর্থ থাকলেই এর ভালভাবে মুখোমুখী হওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন: Budget 2022: পড়ুয়াদের হাতে ল্যাপটপ! ইন্টারনেটেও ভর্তুকি দিতে পারে কেন্দ্র