Budget 2022: ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির দাবি ঋণ গ্যারান্টি যোজনার সীমা বাড়াক সরকার

Budget 2022: ক্ষুদ্র ঋণ কোম্পানিগুলির প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ আটকে থাকার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই ঋণ উসুল করতে কোম্পানিগুলিকে যথেষ্ট মুশকিলের মুখে পড়তে হতে পারে। প্রায় ৫ শতাংশ এমন ঋণগ্রাহক রয়েছেন যাদের ব্যবসা ট্যুরিজম এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল।

Budget 2022: ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির দাবি ঋণ গ্যারান্টি যোজনার সীমা বাড়াক সরকার
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2022 | 3:15 PM

নয়া দিল্লি: ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে আগামী বাজেটে ক্রেডিট গ্যারান্টির সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। এই ক্ষেত্রের স্ব-নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সা-ধন’ ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের ব্যাপারে অর্থমন্ত্রককে দেওয়া নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রটি ঋণের উচ্চ ব্যয় এবং কম ব্যয়যুক্ত দীর্ঘমেয়াদি তহবিলের অ্যাকসেস সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হচ্ছে। এই অবস্থায় তাদের সরকারের সমর্থন জরুরী।

সা-ধনের কার্যকরী নির্দেশক পি সতীশ জানিয়েছেন, ক্ষুদ্র ঋণের ক্ষেত্র চাহিদা এবং জোগানকে গতি দিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু মহামারীর মধ্যে বিশেষ করে ছোট ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলির উপর খারাপ প্রভাব পড়েছে। এই ক্ষেত্রের কড়া চ্যালেঞ্জগুলির উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, বাজেটে এই ক্ষেত্রের জন্য ঋণ গ্যারান্টি যোজনার সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা করা উচিৎ।

তাঁর মতে, মহামারীর কারণে ছোট এমএফআইয়ে পুঁজি প্রভাবিত হয়েছে আর তিনি সরকারের কাছে পাঁচ থেকে সাত বছরের কার্যকালের পাশাপাশি ঋণের অধীনস্ত তারিখ নিয়ে তাঁদের সমর্থন করার অনুরোধ করেছেন। এসআরও এটাও অনুরোধ করেছে যে অলাভজনক এমএফআই-কে রিভলভিং অর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য নাবার্ডের ভেতর ১০০ কোটি টাকার একটি ক্ষুদ্রঋণ উন্নয়ন তহবিল (Microfinance Development Fund) তৈরি করা হোক।

ক্ষুদ্র ঋণ কোম্পানি ঋণদায়ক সংস্থা। এই কোম্পানিগুলি ঋণ আর ছোট সঞ্চয় স্কিমগুলিকে চালায়। তারা আরবিআই আর কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নির্দেশিত সস্তা দরে লোন দেয়। এই কোম্পানিগুলি গ্রাম আর ছোট শহরে বসবাসকারী মানুষদের সহজে লোন দেওয়ার জন্য শুরু করা হয়েছিল। গ্রামীণ আর কৃষির বিকাশে এই কোম্পানিগুলি বড় যোগদান রয়েছে। আরবিআই সেই কোম্পানিগুলিকে ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার আখ্যা দেয় যারা কোম্পানি অ্যাক্ট ১৯৫৬-র অধীনে রেজিস্টার আর যাদের মোট সম্পত্তি ৫ কোটি টাকার কম।

২০০ হাজার কোটি টাকার ঋণ আটকে

ক্ষুদ্র ঋণ কোম্পানিগুলির প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ আটকে থাকার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই ঋণ উসুল করতে কোম্পানিগুলিকে যথেষ্ট মুশকিলের মুখে পড়তে হতে পারে। প্রায় ৫ শতাংশ এমন ঋণগ্রাহক রয়েছেন যাদের ব্যবসা ট্যুরিজম এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল। এই দুই ক্ষেত্রে কাজকর্ম এখনও স্বাভাবিক হয়নি। করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট আসায় এই ক্ষেত্রগুলির সমস্যা আরও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ঋণ গ্রহীতারা নিজেদের ঋণ শোধ করতে আরও বেশি সময় নিতে পারেনষ

ছোট ব্যবসায়ীদের দেওয়া হয়েছে ছাড়

প্রসঙ্গত, এর আগে, সরকার সমস্যায় আটকে পড়া এমএসএমই-র জন্য আর ঋণ নিয়ে ক্রেডিট গ্যারান্টি যোজনাকে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত বাড়িয়েছিল। সরকার ল্যান্ডিং সংস্থাগুলির মাধ্যমে সংকটে আটকে পড়া সুক্ষ্ম, লঘু এবং মাঝারি শিল্পের প্রতিষ্ঠাতাদের ঋণের সুবিধা দেওয়ার জন্য এই যোজনাকে ১ জুন ২০২০ সালে মঞ্জুর করেছিল। ২৪ জুন এর শুরু হয়। এই যোজনার অংশীদারদের থেকে পাওয়া সূচনার উপর ভিত্তি করে সরকার একে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই যোজনা এখন ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত চালু থাকবে। সরকার আগে এই যোজনাকে ৩১.০৩.২০২১ থেকে ছয় মাসের জন্য বাড়িয়ে ৩০.৯.২০২১ পর্যন্ত বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

আরও পড়ুন: Budget 2022: গয়না শিল্পের দাবি সোনার গয়নার জিএসটি কমাক সরকার