PPF-এ আজই বিনিয়োগ করুন, মেয়াদ শেষে হবেন মালামাল…

Investment Plan: বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যত তাড়াতাড়ি পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করবেন, তত আপনার সুবিধা। শুধু বিনিয়োগই নয়, এর পাশাপাশি এই স্কিমের মাধ্যমে ট্যাক্স সেভিংস-এরও অনেক সুবিধা রয়েছে।

PPF-এ আজই বিনিয়োগ করুন, মেয়াদ শেষে হবেন মালামাল...
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 10:42 AM

নয়া দিল্লি: পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (Public Provident Fund) বা পিপিএফ হল ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সরকারের একটি দারুণ সঞ্চয় প্রকল্প (Savings Scheme)। এটি হল মূলত একটি লং-টার্ম সেভিংস (Long Term Savings) স্কিম। এটি প্রথম চালু হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ হল এমন একটি সেভিংস স্কিম, যেখানে টানা টাকা বিনিয়োগ করতে থাকলে, ভবিষ্যতের সঞ্চয় হিসেবে একটি বড় ফান্ড তৈরি হয়। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আপনার দায়-দায়িত্ব সহজেই পালন করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যত তাড়াতাড়ি পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করবেন, তত আপনার সুবিধা। শুধু বিনিয়োগই নয়, এর পাশাপাশি এই স্কিমের মাধ্যমে ট্যাক্স সেভিংস-এরও অনেক সুবিধা রয়েছে।

পিপিএফ-এ সঞ্চয় আপনি খুব কম টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন। ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিয়েই আপনি পিপিএফ-এ বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। আর বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা হল দেড় লাখ টাকা। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে আপনি ১৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন। আর এই সময়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আপনি টাকা তুলতে পারবেন না। ত্রৈমাসিক হিসেবে সরকার এখানে সুদের হার নির্ধারণ করে। আপনি নিজের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে এক বা একাধিক নমিনিকেও রাখতে পারেন।

পিপিএফ অ্যাকাউন্টের ফলে ট্যাক্সের সুবিধা

পিপিএফ-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এক্ষেত্রে প্রাপ্ত সুদের উপর কোনও আয়কর নেই। আপনি আয়কর আইনের ৮৮ নম্বর ধারার আওতায় এই সুবিধা পাবেন। বর্তমান সুদের হারের সঙ্গে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও কোনও টাকা জমা না করেও অ্যাকাউন্টটি চালু রাখা যেতে পারে।

লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা

আপনি পিপিএফ-এ জমা করা টাকার উপর লোনের সুবিধাও পাবেন। আপনি টাকা জমা রাখার পর তৃতীয় আর্থিক বছর থেকে ষষ্ঠ আর্থিক বছর পর্যন্ত এই সুবিধা পাবেন। যে বছর অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তার ১৫ বছর পর অ্যাকাউন্টটি ম্যাচুওর হয়। সেক্ষেত্রে আপনার জমা করা টাকার উপর লোনের সুবিধা পাওয়া যাবে।

কত শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায় পিপিএফ-এ?

বর্তমানে, পিপিএফ-এ সুদের হার বার্ষিক ৭.১০ শতাংশ। কোনও অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে প্রতি বছর দেড় লাখ টাকার বেশি জমা করা উচিত নয়, কারণ সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণে কোনও সুদ পাওয়া যাবে না বা আয়করের অধীনে ছাড়ের যোগ্যও হবে না। সবথেকে বড় সুবিধা হল, এই টাকা আপনি একবারে বা কিস্তিতে জমা করতে পারবেন। প্রতি মাসের পঞ্চম দিনে এবং শেষ দিনের মধ্যে ন্যূনতম ব্যালেন্সের উপর সুদ গণনা করা হয়।

কীভাবে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলবেন?

আপনি পোস্ট অফিস গিয়ে বা যে কোনও ব্যাঙ্কে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এটি অনলাইনেও খোলা যেতে পারে। তবে যাঁরা ভারতে বসবাস করেন না, অর্থাৎ প্রবাসী ভারতীয়, তাঁরা এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন না।