১০ টা থেকে ২ টো পর্যন্ত চলুক ব্যাঙ্ক, গাইডলাইন দিল অ্যাসোসিয়েশন
স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা পুলিশকর্মীদের মত ব্যাঙ্ক কর্মীদেরও করোনা সংক্রমনের আশংকা প্রথম থেকেই অনেক বেশি। গত বছর থেকেই বহু ব্যাঙ্ক কর্মীকে আক্রান্ত হতে দেখা দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: করোনা অতিমারীর শুরু থেকেই দেখা গিয়েছে, সংক্রমিত হয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। যেহেতু ব্যাঙ্ক গুলিতে বহু মানুষের যাতায়াত, তাই সংক্রমণের সম্ভাবনা সেখানে অনেক বেশি। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের মতো প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা বা বাড়ি থেকে কাজ করা সম্ভব হয় না, তাই ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিস্তার পাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে কম। এবার করোনার দ্বিতীয় ধাক্কার মধ্যে তাই ব্যাঙ্ক কর্মীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কমানো হতে পারে কাজের সময়।
সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের একটি বৈঠকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কের কাজের সময়সীমা কমিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, উপস্থিতির হার এক ধাক্কায় অর্ধেক করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের মধ্যে সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে অ্যাসোসিয়েশনের তরফে। বৈঠকের পর ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে সব ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে।
অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাঙ্কগুলি সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত কাজ করতে পারবে। সাধারণ মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ব্যাঙ্কের কাজ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে টাকা তোলা, টাকা জমা দেওয়া ও সরকারি ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত কাজে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
যেহেতু দেশ জুড়ে কোনও লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি এবং রাজ্যগুলি নিজের মত কোভি ড বিধি পালন করছে, তাই গাইডলাইনে বলা হয়েছে স্টেট লেভেল ব্যাংকার্স কমিটি প্রয়োজনে তাদের বিধিতে বদল আনতে পারে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের রোটেশন অনুযায়ী কাজে আসার কথাও বলা হয়েছে গাইডলাইনে।
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্ক কর্মীদের বলা হয়েছে যাতে তারা এবং তাদের পরিবারের লোকজন ভ্যাকসিন নিয়ে নেন। পাশাপাশি কর্মীরা অসুস্থ হলে যাতে তাদের চিকিৎসার সব বন্দোবস্ত করে দেওয়া হয় সেকথাও ব্যাঙ্কগুলিকে বলেছে অ্যাসোসিয়েশন। ব্যাঙ্কের স্যানিটাইজেশন এর উপর জোর দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।