Inflation: জ্বালানির করে কাটছাঁট চালিয়েছে কেন্দ্র, এবার কি গৃহস্থের উপর থেকে কমবে মূল্যবৃদ্ধির চাপ?

Price Hike: বিশেষজ্ঞদের মতে, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি থেকে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই কেন্দ্রের তরফে জ্বালানির মূল্য়ের উপর বসা করের ছাড় দেওয়া হয়। এরজেরে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই আটকানো সম্ভব হয়েছে।

Inflation: জ্বালানির করে কাটছাঁট চালিয়েছে কেন্দ্র, এবার কি গৃহস্থের উপর থেকে কমবে মূল্যবৃদ্ধির চাপ?
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 8:00 AM

নয়া দিল্লি: জ্বালানির জ্বালায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছে গৃহস্থের। বিগত দুই মাসে একদিকে যেমন হু হু করে বাড়ছিল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, পাল্লা দিতে তেমনই বৃদ্ধি পাচ্ছিল রান্নার গ্য়াসের দামও। তবে মধ্যবিত্তকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই কেন্দ্রের তরফে দাম কমানো হয় জ্বালানি-রান্নার গ্যাসের। মে মাসে জ্বালানির দাম কমলেও, খুব একটা হেরফের হয়নি খুচরো পণ্যের। অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মতে, আপাতত মূল্য়বৃদ্ধি থেকে মুক্তি মিলবে না।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর মে মাসে মুদ্রাস্ফীতির হার বেশ অনেকটাই কমে গিয়েছে। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে যেখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭,৭৯ শতাংশ ছিল, সেখানেই চলতি বছরের মে মাসে তা ৭.১০ শতাংশে কমে দাঁড়িয়েছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে মূল্যবৃদ্ধির সহনশীলতার ব্যান্ড ৮.৩০ শতাংশ বলে ঘোষণা করা হলেও, আসলে তা ২ থেকে ৬ শতাংশ বেশি থাকতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জ্বালানির মূল্যের উপরে কাঁচি চালানোর পরও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি কেন জারি রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ও মুদ্রাস্ফীতি থেকে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতেই কেন্দ্রের তরফে জ্বালানির মূল্য়ের উপর বসা করের ছাড় দেওয়া হয়। এরজেরে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর নতুন করে মূল্যবৃদ্ধি অনেকটাই আটকানো সম্ভব হয়েছে। তবে যে সমস্ত পণ্যের দাম ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছিল, তা কমানো হচ্ছে না।

অর্থনীতিবিদ ধীরজ নিম জানান,গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে জ্বালানির উপরে প্রায় ১০ শতাংশ করের ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবুও খাদ্য়পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, বিশেষ করে গরমকালে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আগামিদিনে এই দাম আরও বাড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তই দায়ী। পরপর দুই মাসে দু’বার রেপো রেট ৫০ বেসিস বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জেরে ঋণের ইএমআই বৃদ্ধি পেয়েছে, যা গৃহস্থের বাজেটকে আরও ওলট-পালট করে দেবে বলেই অনুমান। যদি রয়টার্সের সমীক্ষা সত্যি হয়, তবে চলতি বছরের প্রতি মাসেই খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সহনশীলতার সীমা পার করে যাবে।