স্বাস্থ্য বীমা থাকা সত্ত্বেও ৪০ শতাংশ টাকা পকেট থেকেই দিতে হচ্ছে করোনা আক্রান্তের পরিবারকে

কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে সমস্যা পড়েছেন অনেকেই। হাসপাতালের বিল দেখে চোখ কপালে উঠছে পরিবারের।

স্বাস্থ্য বীমা থাকা সত্ত্বেও ৪০ শতাংশ টাকা পকেট থেকেই দিতে হচ্ছে করোনা আক্রান্তের পরিবারকে
হাসপাতালের খরচে নাজেহাল রোগীরা
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2021 | 7:04 PM

নয়া দিল্লি: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেই হাতে ধরানো হচ্ছে লম্বা-চওড়া বিল। রোগী মুক্তি পাওয়ার পর বিল মেটাতে ঘটি-বাটি বেচতে হচ্ছে। এরই মধ্যে নয়া চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্বাস্থ্য বীমা। অনেক ক্ষেত্রেই বিলের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা দিতে হচ্ছে নিজের পকেট থেকে।

গত বছর ‘করোনা কবচ’, ‘করোনা রক্ষক’ নামে এক বিশেষ স্কিম বিক্রি করেছিল বীমা সংস্থাগুলি। কম খরচেই সাধারণ মানুষ এই পলিসি কিনতে পেরেছিলেন। কিন্তু করোনার সেকেন্ড ওয়েভে বীমাও কোনও ভরসা জোগাচ্ছে না। বীমার টাকার চাহিদা এত বেশি হয়ে গিয়েছে যে অনেক ক্ষেত্রেই ‘ক্লেম’ বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ মোট টাকার ৬০ শতাংশ পাচ্ছে, বাকি টাকা নিজেদেরই মেটাতে হচ্ছে।

আদতে এত বেশি টাকা ‘ক্লেম’ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না বীমা সংস্থাগুলি। পাশাপাশি পিপিই কিট, মাস্ক, গ্লাভসের মতো একটা বড় অংশের খরচ থাকছে বীমার আওতার বাইরে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, ক্যাশলেস পরিষেবাও পাচ্ছে না আক্রান্তের পরিবার। বিশেষত বেসরকারি হাসপতালের বিপুল খরচ বহন করতে চাইছে না সংস্থাগুলি।

আরও পড়ুন: করোনার আবহে স্বাস্থ্য বিমার গুরুত্ব কতটা, জেনে নিন

সাম্প্রতিককালে বীমা করানোর প্রবণতা বেড়েছে অনেকটাই। তবে, করোনায় মৃতের সংখ্যা এত বাড়ছে যে চাপ পড়ছে বীমা সেক্টরেও। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, নতুন পলিসি করাতে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এমনকি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, এমন ব্যক্তিরাও বীমা করাতে পারছেন না। তাই বেশি দেরি না করে বীমা করিয়ে নেওয়া উচিত। রিপোর্ট বলছে, শেষ আর্থিক বছরের শেষে অর্থাৎ গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত শুধু করোনা চিকিৎসার জন্য ৯.৯ লক্ষ স্বাস্থ্য বীমার টাকা মেটাতে হয়েছে বীমা সংস্থাকে। যার মূল্য মোট ১৪,৫৬১ কোটি টাকা। ৪ মে অবধি সেই টাকা বেড়ে হয় ২২,৯৫৫ কোটি। মাত্র ৪৪ দিনে ৮,৩৮৫ কোটি টাকা মেটাতে হয়েছে। গত বছর যে পরিমাণ বীমার টাকা মেটানো হয়েছিল, এবার ৪ মে পর্যন্ত তার ৫৭ শতাংশ টাকা মিটিয়েছে সংস্থা।