Economic Survey Report: মঙ্গলে পেশ আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট, ভারতের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হার থাকবে কত?
Economic Survey: মঙ্গলবার সংসদে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করবেন নির্মলা। তার আগে সূত্রের খবর, এই সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে ৬.১ থেকে ৬.৮ শতাংশ থাকতে পারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার।
আগামী অর্থবর্ষেও ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার থাকতে পারে ৬ শতাংশ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে থাকতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। আজই সংসদে আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সেখানে ২০২৩-২৪ সালের ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি লক্ষ্য়মাত্রা নির্ধারণ করা হবে।
আগামী অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ থাকবে বলে অনুমান আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (International Monetary Fund)। আর বিশ্ব ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই প্রবৃদ্ধির হার ৬.৬ শতাংশ। তবে সরকারের আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে এই প্রবৃদ্ধির হার অপেক্ষাকৃত বেশি, ৬ থেকে ৬.৮ শতাংশ। সূত্রের খবর, ব্য়াঙ্কের ঋণদানের পরিমাণ বাড়াতে এবং কর্পোরেশনগুলির অধিক হারে মূলধন বিনিয়োগের কারণে ১ এপ্রিল থেকে নতুন অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী থাকবে।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ভাষণ দিয়ে আজ বাজেট অধিবেশনের সূচনা হবে। তারপর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করবেন। এই সমীক্ষা রিপোর্ট তৈরি করেছেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি. অনন্ত নাগেশ্বরন। এই আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট হল গত অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতির উপর দিয়ে কী কী গিয়েছে তার একটি পর্যালোচনা।
কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে ভারতের অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে দেশীয় বাজারেও মূল্যবৃদ্ধি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। ভারত সহ বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিকে মহামারী চলাকালীন গৃহীত অতি-শিথিল আর্থিক নীতি প্রত্যাহার করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে। জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষা রিপোর্টে আরও বলা হতে পারে, আর্থিক নীতি কঠোর হওয়ার কারণে ভারতীয় মুদ্রার উপর একটি চাপ অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে শক্তিশালী স্থানীয় অর্থনীতির কারণে আমদানি বেশি থাকতে পারে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির দুর্বলতার কারণে রফতানি কমতে পারে। সেই কারণে আগামী অর্থবর্ষে ভারতের রাজস্বে কিছুটা ঘাটতি হতে পারে বলেও এই সমীক্ষা রিপোর্টে সতর্ক করা হতে পারে।