Provident Fund Interest Rate: দীপাবলির উপহার! প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র
অতিমারির জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অনেকেই পিএফ-এ জমানো টাকা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অর্থনীতির চাকা একটু গড়াতেই একাধিক পদক্ষেপ করে নির্মলা সীতারামনের মন্ত্রক।
নয়া দিল্লি: দীপাবলির আগে সুখবর! সূত্রের খবর, প্রভিডেন্ট ফান্ডের জমা আমানতে ৮.৫ শতাংশ হারেই সুদ মিলবে। কোনও কাটছাঁট করা হচ্ছে না। এর আগে বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ৮.৫ শতাংশ হারে সুদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। এ দিনের সিদ্ধান্তে কিছুটা স্বস্তি পিএফও-র ৫ কোটি উপভোক্তা।
গত বৈঠকে প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের নেতৃত্বে অছি পরিষদের (সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টি, CBT) যে বৈঠক হয়, সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল উল্লেখিত অর্থবর্ষে পিএফ-এর আমানতের উপর ৮.৫ শতাংশ হারেই সুদ দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, শেয়ার বাজারএবং ঋণপত্রে আশাব্যঞ্জক বিনিয়োগ হওয়ায় সরকারের পক্ষে এই পদক্ষেপ করতে সহজ হয়েছে।
সাধারণত, ইপিএফ-এর তহবিলে ৮৫ শতাংশ লগ্নি হয় ঋণপত্র। বাকি ১৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে। গতবার কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার ইটিএফ এবং শেয়ার নির্ভর প্রকল্প ব্যাপক হারে মার খায়। সে সময় অছি পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়, দুই কিস্তিতে সুদ মেটাবে উপভোক্তাদের। যদিও, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে মেরুদণ্ড ঝোঁকাতে দেখা যায়নি দালাল স্ট্রিটকে। শেষ দু’মাসে ১০ হাজার শেয়ার দর বেড়েছে সেনসেক্স সূচকের।
উল্লেখ্য, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে পিএফ-এর সুদ ছিল ৮.৭৫। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ৮.৮০ হারে সর্বোচ্চ সুদ দেওয়া হয়। তারপর ক্রমশ সুদের হার কমতে থাকে। গত ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত অপরিবর্তিত রয়েছে সুদের হার।
অতিমারির জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। অনেকেই পিএফ-এ জমানো টাকা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অর্থনীতির চাকা একটু গড়াতেই একাধিক পদক্ষেপ করে নির্মলা সীতারামনের মন্ত্রক। ঘোষণা করা হয়, ২০২২ সাল পর্যন্ত পিএফ উপভোক্তাদের এবং সংস্থার অংশের টাকা দেবে সরকারই। পাশাপাশি, কর্মসঙ্কট মেটাতে মনরেগা প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে এক লক্ষ কোটি টাকা করা হয়। এই সিদ্ধান্তে কিছুটা অক্সিজেন পায় ধুঁকতে থাকা সংস্থাগুলি।