Assam Tea: অসমের চায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন বিশ্বজুড়ে এর সুখ্যাতি জানেন?

Assam Tea Specialty: পশ্চিমবঙ্গে যেমন দার্জিলিংয়ের চা বিখ্যাত, তেমনই অসমেও চা বিশ্বখ্যাত। দেশের ৫০ শতাংশ চা উৎপাদন হয় অসম থেকেই। বিশ্বব্যাপীও যদি চা উৎপাদনের পরিসংখ্যান দেখা হয়, তবে বিশ্বের  চাহিদার ২৩ শতাংশ চা ভারতে উৎপাদিত হয়। বিদেশে ভারতের যে চা রফতানি করা হয়, তার মধ্য়ে একটা বড় অংশই অসম থেকে আসে।

Assam Tea: অসমের চায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রধানমন্ত্রী মোদী, কেন বিশ্বজুড়ে এর সুখ্যাতি জানেন?
অসমের চা বাগানে প্রধানমন্ত্রী মোদী।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 10, 2024 | 6:30 AM

গুয়াহাটি: অসম বললেই মাথায় প্রথম কী মাথায় আসে? কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান বা একশৃঙ্গ গন্ডার? উত্তরটা হল না। অসম বললেই সবার মনে প্রথমেই আসে চায়ের কথা। পশ্চিমবঙ্গে যেমন দার্জিলিংয়ের চা বিখ্যাত, তেমনই অসমেও চা বিশ্বখ্যাত। দেশের ৫০ শতাংশ চা উৎপাদন হয় অসম থেকেই। বিশ্বব্যাপীও যদি চা উৎপাদনের পরিসংখ্যান দেখা হয়, তবে বিশ্বের  চাহিদার ২৩ শতাংশ চা ভারতে উৎপাদিত হয়। বিদেশে ভারতের যে চা রফতানি করা হয়, তার মধ্য়ে একটা বড় অংশই অসম থেকে আসে। প্রতি বছর ৭০ কোটি কেজি চা উৎপাদন করে অসম।

 অসমের চায়ের এত জনপ্রিয়তা কেন? 

একদিকে পাহাড়ি উপত্যকা, অন্যদিকে নদী। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে জন্মানো অসমে চা তার বিশেষ স্বাদের জন্য বিখ্যাত। তবে এই স্বাদ এমনিই তৈরি হয় না, এর জন্য তিনটি বিষয় দায়ী। প্রথমত, দোঁয়াশ মাটি। দ্বিতীয়ত,  জলবায়ু এবং তৃতীয়, বৃষ্টি। এই তিনটি জিনিসই অসমেরর চা-কে অনন্য করে তুলেছে।

অসমের চায়ের মধ্যে দুই ধরনে চা সবথেকে বিখ্যাত। প্রথমটি হল অর্থোডক্স ও দ্বিতীয়টি সিটিসি। কী এই সিটিসি চা? ক্রাশ, টিয়ার, কার্ল চা-ই সংক্ষেপে সিটিসি নামে পরিচিত। যে চা গুড়ো করে, মেশিনে কেটে ও শুকিয়ে গুটিয়ে বিক্রি করা হয়, তা-ই হল সিটিসি চা। তবে জিআই ট্যাগ পেয়েছে অসমের অর্থোডক্স চা ।

অসমের চায়ের বিশেষত্ব কী?

অসমের চায়ের বিশেষত্ব হল অন্যান্য চায়ের তুলনায় এতে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইনের পরিমাণ। ২৩৫ মিললি চায়ে প্রায় ৮০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। এই ক্যাফেইনের জন্য দেশ তথা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় অসম চা।

কীভাবে অসম চা উৎপাদন শুরু হয়েছিল?

অসমের চায়ের ইতিহাস প্রায় ১৭০ বছর পুরনো। ১৮২৩ সালে প্রথম অসম চা উৎপাদন শুরু হয়েছিল। স্কটিশ পর্যটক রবার্ট ব্রুস বাণিজ্য করতে ভারতে এসেছিলেন। তিনি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ধারে জঙ্গলে চা গাছের সন্ধান পান। ১৮৩৩ সালে তিনি এই চা দিয়েই বাণিজ্য করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্রিটিশ সরকার অসমের লখিমপুরে একটি চা বাগান গড়ে তোলে।

চার্লস চিনা শ্রমিকদের সহায়তায় চা চাষ শুরু করেন। এর নমুনা পাঠানো হয় চিনে। ধীরে ধীরে অসমে চা উৎপাদন বাড়তে থাকে। বিদেশেও রপ্তানি শুরু করা হয়। ১৮৪১ সালে ভারতে প্রথমবার চা নিলাম করা হয়েছিল।