Garlic Prices: সোনার দরে কিনতে হচ্ছে রসুন! কবে কমবে চড়া দাম?

Garlic Prices: দাম চড়েছে বহুদিনই, এখনও পর্যন্ত তা কমার কোনও নাম-গন্ধ নেই। বরং, এখনই দাম কমবে না বলেই জানাচ্ছেন রসুন ব্যবসায়ীরা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, অনেকেই বাড়িতে রান্নায় রসুন দেওয়া কমিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু, হোটেল-রেস্তোরাঁর মোগলাই বা চাইনিজ রান্না তো রসুন ছাড়া হবে না। এই অবস্থায় অনেকেই কাজ চালচ্ছেন বাজার চলতি আদা-রসুনের পেস্ট দিয়ে।

Garlic Prices: সোনার দরে কিনতে হচ্ছে রসুন! কবে কমবে চড়া দাম?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Updated on: Feb 16, 2024 | 8:17 AM

কলকাতা: আদা, টমেটো, পেঁয়াজ, রসুন ছাড়া হেঁশেল চলে না। রান্নাঘরের এই প্রিতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলির মূল্যবৃদ্ধি বর্তমানে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত পরিবারগুলির বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও টমেটো, কখনও পেঁয়াজের দাম হয়ে যাচ্ছে আকাশছোঁয়া। এবার, আমজনতার পকেটে ছেঁকা দিচ্ছে রসুনের দাম। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে, রসুনের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার জেরে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে বহু পরিবারের মাসিক বাজেট। দাম চড়েছে বহুদিনই, এখনও পর্যন্ত তা কমার কোনও নাম-গন্ধ নেই। বরং, এখনই দাম কমবে না বলেই জানাচ্ছেন রসুন ব্যবসায়ীরা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, অনেকেই বাড়িতে রান্নায় রসুন দেওয়া কমিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু, হোটেল-রেস্তোরাঁর মোগলাই বা চাইনিজ রান্না তো রসুন ছাড়া হবে না। এই অবস্থায় অনেকেই কাজ চালচ্ছেন বাজার চলতি আদা-রসুনের পেস্ট দিয়ে।

বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন বলছে, মহারাষ্ট্র, গোয়া এবং উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে রসুনের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। উত্তর প্রদেশে এখন খুচরো বাজারে, প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে একটু ভাল মানের রসুনের দাম রয়েছে ২২০-২৪০ টাকার মধ্যে। শুধু উত্তর প্রদেশ নয়, দেশের বিভিন্ন অংশেই খুচরা বাজারে ৪০০ টাকার নীচে রসুন পাওয়া যাচ্ছে না। কলকাতাতেও একই অবস্থা। ভাল মানের ১ কেজি রসুন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রসুনের এই চড়া দাম কমবে কবে? রসুন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যারা, তারা কিন্তু আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে দাম কমার কোনও সম্ভাবনা দেখছে না। কারণ বাজারে এখনও নতুন ফলা রসুন নেই। যার কারণে, চাহিদার অনুযায়ী রসুন সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা আঙুল তুলছেন গত বছরের বিলম্বিত বর্ষার দিকে। তাঁরা জানিয়েছেন, সাধারণত জানুয়ারি মাসেই নতুন রসুন বাজারে এসে যায়। কিন্তু, মহারাষ্ট্রের মতো দেশের যে অংশগুলিতে রসুন চাষ হয়, সেখানে বর্ষার খামখেয়ালিপনায় গত বছর দেরিতে বীজ বপন করা হয়েছে। বীজ বপন করতে করতে অগস্ট মাস চলে এসেছিল। যার ফলে, রসুনের ফলনেও দেরি হচ্ছে। আর সেই কারমেই সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এটাই দাম বাড়ার কারণ। নতুন ফলন হওয়া রসুন বাজারে আসতে শুরু করলেই দামও কমবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে, সামনের দুই সপ্তাহের মধ্যে তার সম্ভাবনা নেই।