Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tata-Ambani-Adani Lost Money: এক সপ্তাহে কতটা ‘গরিব’ হয়ে গেল টাটা-অম্বানী-আদানি-বিড়লারা, দেখুন

Equity Market: নয়া অর্থবর্ষের শুরু থেকেই বেশ চাপে ভারতের শেয়ার বাজার। টাটা, অম্বানি, আদানি সহ একাধিক সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন কমে গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে।

Tata-Ambani-Adani Lost Money: এক সপ্তাহে কতটা 'গরিব' হয়ে গেল টাটা-অম্বানী-আদানি-বিড়লারা, দেখুন
Follow Us:
| Updated on: Apr 07, 2025 | 11:45 PM

নয়া অর্থবর্ষের শুরু থেকেই বেশ চাপে ভারতের শেয়ার বাজার। আর তার মধ্যেই ২ এপ্রিল পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর গোটা বিশ্বের বিভিন্ন শেয়ার বাজারে দেখা গিয়েছে রক্তের হোলি। হুড়মুড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সূচক। ধসে গিয়েছে ন্যাসড্যাক, ডাও জোনস, এস অ্যান্ড পি-র মতো আমেরিকার সূচক। ধাক্কা খেয়েছে এসএসই (SSE), হ্যাংসেং, এসজেডএসই (SZSE), চিনেক্সট, সিএসআই (CSI)-এর মতো একাধিক চিনা সূচকও।

এই সব কিছুর প্রভাব পড়েছে ভারতের বাজারেও। একাধিক সংস্থার মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন কমে গিয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। টাটা গ্রুপের সমস্ত সংস্থা যোগ করলে তাদের সম্মিলিত মার্কেট ক্যাপ কমেছে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। টাটা কনলাস্টেন্সি সার্ভিসেস (TCS), টাটা মোটরস, টাটা স্টিল, টাইটানের মতো সংস্থার মার্কেট ক্যাপ কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। টিসিএসের মুনাফা কম হওয়ায় ও বিশ্বজুড়ে তথ্য প্রযুক্তি খাতে চাহিদা কমায় পতন হয়েছে সংস্থার শেয়ারের দামে। কমেছে সংস্থার মার্কেট ক্যাপ।

১ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকা মার্কেট ক্যাপ কমেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের। রিলায়েন্সের পেট্রোলিয়াম থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা, সর্বত্র তাদের রিফাইনিং মার্জিন কমে যাওয়ায় সংস্থার বাজারি মূলধনে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গিয়েছে। একই সঙ্গে মার খেয়েছে জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসও।

এই তালিকায় ৩ নম্বরে রয়েছে আদানি গ্রুপ। টাটা বা অম্বানির মতো না হলেও অনেক পড়েছে আদানির মার্কেট ক্যাপ। ৫৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা পড়েছে সংস্থার বাজারি মূলধনের অঙ্ক। সংস্থার নেওয়া ঋণে সুদের হার বেড়ে যাওয়া ও একাধিক ব্যবসায় চাপ বাড়ার কারণে পড়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি গ্রিন, আদানি পোর্টস, আদানি পাওয়ারের মতো সংস্থার শেয়ারের দাম। ফলে কমেছে সংস্থার মার্কেট ক্যাপ।

এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা মার্কেট ক্যাপ হারিয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মার্কেট ক্যাপ হারিয়েছে এই ব্যাঙ্কিং সংস্থা। আর এর পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। সুদের মার্জিন কমে যাওয়া ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভারতীয় ব্যাঙ্কিং খাত থেকে পুঁজি সরানোয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক।

এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ও এইচডিএফসি লিমিটেড মার্জ হওয়ার পর ক্রমাগত মুনাফা কমেছে এই সংস্থার। মার্জার পরবর্তী ইন্টিগ্রেশন চ্যালেঞ্জ এর পিছনে একটা বড় কারণ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এর ফলে সংস্থার মার্কেট ক্যাপ কমেছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা।

সিমেন্ট সংস্থা আল্ট্রাটেকের জ্বালানি খরচ বৃদ্ধির কারণে কমেছে সংস্থার মার্জিন। নন ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি বা NBFC সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বাড়ায় আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল ও গ্রাসিমের শেয়ারে তার প্রভাব পড়েছে। আর এই সব মিলিয়েই আদিত্য বিড়লা গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ কমেছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা।

টিউব ইনভেস্টমেন্ট, চোলামণ্ডলম ইনভেস্টমেন্ট ও কার্বোরান্দ্রাম ইউনিভার্সালের শেয়ারের দামে পতনের কারণে প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা কমেছে মুরুগাপ্পা গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ। তবে এই সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলে ফের বৃদ্ধি পাবে এই সংস্থাগুলোর মার্কেট ক্যাপ, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এখন বাজার কিছুটা অস্থির থাকলেও পরবর্তীতে এই অস্থিরতা কমবে, বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরাই।

কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।