Best Mutual Fund : আপনার স্বপ্ন সত্যি করতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড! শুধু খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলি
Best Mutual Fund : শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের পাশাপাশি বর্তমানে চাহিদা বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ডেরও (Mutual Fund)। তবে বিনিয়োগের (Investment) সময় এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন।

কলকাতা : শেয়ার মার্কেটের পাশাপাশি বর্তমানে অল্প সময়ে বড় লাভের মুখ দেখতে অনেকেই বিনিয়োগ করছেন মিউচুয়াল ফান্ডে (Mutual Fund)। বিশেষজ্ঞরা বলছেন সাধারণভাবে, ক্রিপ্টো (Crypto Market) বা শেয়ার বাজারে (Share Market) বিনিয়োগের আগে হাত পাকানোর একটি বড় জায়গা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ। শেয়ার বাজারের তুলনায় এই বিনিয়োগে ঝুঁকির পরিমাণ যেমন বেশ খানিকটা কম থাকে, ঠিক তেমনই একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আপনার বিনিয়োগ করা পুঁজি সুরক্ষিত ভাবে তুলে রাখতেও পারেন সেভিংসের কায়দায়। কিন্তু ভাল মিউচুয়াল ফান্ডের সন্ধান কীভাবে পাওয়া যাবে? কীভাবে বুঝবেন কোথায় বিনিয়োগ করলে উঠে আসবে সবথেকে বেশি অর্থ?
বাজারে চাহিদার উপর ভিত্তি করে একটি মিউচুয়াল ফান্ডের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়ে থাকে। সাধারণভাবে, ফান্ড বা তহবিলের ভিত্তিতে মিউচুয়াল ফান্ডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা, লার্জ ক্যাপ (Large Capitalization) বা বৃহৎ পুঁজিসম্পন্ন তহবিল, মিড ক্যাপ (Mid Capitalization) বা মাঝারি পুঁজিসম্পন্ন তহবিল। সব শেষে স্মল ক্যাপ (Small Capitalization) অর্থাৎ অল্প পুঁজিসম্পন্ন তহবিল। একটি কোম্পানির বাজার দখল কতটা সেই ভিত্তিতেই কোম্পানির মিউচুয়াল ফান্ড কিনে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। এমনকী বাজারে এই পুঁজির গ্রহণযোগ্যতা কতটা দেখা হয় সেই বিষয়টিও।
লার্জ ক্যাপ
দেশের সর্ববৃহৎ ১০০টি সংস্থাকে এই লার্জ ক্যাপ বা বৃহৎ পুঁজিসম্পন্ন সংস্থার তালিকায় রাখা হয়ে থাকে। সাধারণভাবে, এই সংস্থাগুলির মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার অর্থ সমস্ত রকম ঝুঁকি থেকে দূূরে থাকা। এদিকে শেয়ার বাজারের ওঠানামার প্রভাবও অনেকটাই পড়ে মিউচুয়াল ফান্ডের উপর। কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে শেয়ারের প্রত্যক্ষ প্রভাব খুব একটা এই ধরনের ফান্ডে পড়ে না। ফলত, বিনিয়োগকারীর ধীরে ধীরে লাভের মুখে দেখতে পান। তবে বিশালাকার লাভ দেখতে পাওয়া যায় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। তবে ঝুঁকি অনেকটাই কম। বিনিয়োগের অর্থরাশি এখানে সিংহভাগ ক্ষেত্রে বেশি থাকতে হয়।
মিড ক্যাপ
এই তহবিলগুলিতে বিনিয়োগে খানিক ঝুঁকি থেকেই যায়। তবে বৃহৎ তহবিলগুলির তুলনায় এর খুব বেশি পার্থক্য থাকে না। সামান্য ঝুঁকির সম্ভবনা যেমন থাকে, তেমনই এই মিউচুয়াল ফান্ডগুলি থেকে উঠে আসা মুনাফার পরিমাণও লার্জের ক্যাপের থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি হয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
স্মল ক্যাপ
‘রিস্ক হ্যা তো ইস্ক হ্যা’, এটাই যেন এই ফান্ডগুলির মূল মন্ত্র। অল্প দামে মিউচুয়াল ফান্ড কিনে বিরাট অঙ্কের মুনাফা লাভের জায়গা স্মল ক্যাপ ফান্ড। সাধারণভাবে, দেশের বৃহৎ কোম্পানিদের তালিকায় ২৫০-এর নীচে থাকা কোম্পানি বা সংস্থাগুলি এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, বিরাট অঙ্কের মুনাফাও যেমন মেলে তেমনি থাকে ঝুঁকির সম্ভবনা। শেয়ার বাজারে ওঠাপড়া সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলে এই ফান্ডগুলির উপরেই।
বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।





