Savings: পুজোর মরসুমে বেহিসেবি খরচে লাগাম টানবেন কীভাবে? খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলিতে

Savings: অপ্রয়োজনীয় খরচ বাঁচিয়ে সহজেই করুন সঞ্চয়। মাথায় রাখুন কিছু সহজ টিপস।

Savings: পুজোর মরসুমে বেহিসেবি খরচে লাগাম টানবেন কীভাবে? খেয়াল রাখুন এই বিষয়গুলিতে
ছবি - পুজোর মার্কেটিং
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 20, 2022 | 10:24 AM

কলকাতা: দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022), রাস্তা ঘাটে যানজট, দোকানে দোকানে উপচে পড়া ভিড় যেন একটাই কথা বলছে, কি বাঙালি রেডি তো? পুজোর আগে আগে ঠিক এই সময়টা অন্যান্য মাসের থেকে স্বাভাবিকভাবেই খরচ বেশিই হয়, কিন্তু সেই খরচ যদি লাগামছাড়া হয় তবে কিন্তু পরবর্তীতে সমূহ বিপদ রয়েছে৷ তাই আয় বুঝে ব্যয় করা উচিত। এই দ্রব্য মূল্যের বাজারে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে পরবর্তীতে কোনও দুর্যোগ এলে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। 

আমাদের খরচের ক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুল রয়ে যায়, যা একটু শুধরে নিতে পারলেই মাসের শেষে বেশ কিছুটা টাকা বাঁচিয়ে রাখা যায়। একটু বুঝে খরচ করলেই জীবনে চাপে না ঋণের বোঝা, সঞ্চয়ের রাস্তাও প্রসারিত হতে থাকে। তবে সঞ্চয় করার প্রাথমিক এবং প্রধান নিয়ম যে বুঝে ব্যয় করা, তা মোটামুটি সকলেরই জানা। কিন্তু, খামখেয়ালি খরচের কারণে এই নিয়ম আমরা অনেকেই মেনে উঠতে পারিনা বেশিরভাগ সময়ই। 

এই প্রসঙ্গে বিখ্যাত মার্কিন ব্যবসায়ী ও মার্কেট ওয়ারেন বাফেট (Warren Buffett) সবচেয়ে দামি কথাটি বলে গিয়েছেন। তাঁর কথায় “যদি তুমি বিরামহীন ভাবে অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে থাকো, তবে শিঘ্রই তোমাকে প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করা শুরু করতে হবে”। সহজ কথায় কয়েকটা জিনিস মেনে চললেই আপনি মাসের শেষে বেশ কিছুটা টাকা ভবিষ্যতের জন্য জমাতে পারবেন৷ এই জন্য কেনাকাটা করতে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় জিনিসের একটা তালিকা তৈরি ররে নিন। মাথায় রাখতে হবে তার চেয়ে বেশি খরচ কোনওভাবেই করা যাবে না। কোনও ভাবেই অপ্রয়োজনীয় জিনিসের কিনে টাকা নষ্ট করা চলবে না। এছাড়াও বিভিন্ন খাতে যেমন রেকারিং, ফিক্সড ডিপোজিট, পলিসিতে টাকা জমান, অত্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া সে টাকায় হাত দেবেন না। কারণ মনে রাখতে হবে আজকের যুগে আয় সীমিত ব্যয় কিন্তু ব্যয় কিন্তু বেড়েই চলেছে।

অন্যদিকে পুজোর সময় একাধিক ব্যবসায়িক সংস্থার তরফে বিভিন্ন অফার দেওয়া হয়। দেওয়া হয় নানা ভাউচার, গিফট কার্ড। কোন কোন সংস্থায় এই জাতীয় ছাড় পাওয়া যাচ্ছে তার একটা তালিকা তৈরি করে বাজারে গেলে খানিক সাশ্রয় সম্ভব। একইসঙ্গে অনলাইনেও পুজোর মরসুমে দেদার ছাড় দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট দিনে কেনাকাটা করলেও কিছু বাড়তি ছাড় পাওয়া সম্ভব। তবে এ ক্ষেত্রে লোভনীয় অফারের চক্করে যাতে আপাতভাবে অপ্রয়োজনীয় জিনিস আমরা না কিনে ফেলি সেদিকে নজর রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্রে পুজোর সময় পাওয়া বোনাস যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যদিও তারপরেও হাতে কিছু বাড়তি অর্থ থেকে যায় তবে তা ছোটখাটো কোনও মিউচুয়াল ফান্ড, স্টকে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।