Share Market: ৪ বছরে ৫ লক্ষের শেয়ার ছুঁয়েছিল ২৫ কোটির গণ্ডি, চেনেন এই খান্না দম্পতিকে?

Share Market: ১৯৯৫ সালে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারকে নিজের কোম্পানি বেচে দেন। সংস্থা বিক্রির কারণে সেই সময় একইসঙ্গে মোটা টাকা হাতেও পেয়ে যান। তিনি সেই সময় ওই টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, কোথায় বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যত আরও সুরক্ষিত হতে পারে তা ভাবতে গিয়ে চিন্তায় পড়ে যান তিনি।

Share Market: ৪ বছরে ৫ লক্ষের শেয়ার ছুঁয়েছিল ২৫ কোটির গণ্ডি, চেনেন এই খান্না দম্পতিকে?
খান্না দম্পতি Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2023 | 8:56 AM

কলকাতা: বাড়তি আয়ের খোঁজে বর্তমানে দেশের একটা বড় সংখ্যক মানুষ শেয়ার বাজারে (Share Market) বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছেন। চাহিদা বাড়ছে ট্রেডিং অ্যাপগুলির। বিনিয়োগ বাড়ছে মিউচুয়াল ফান্ডগুলিতেও। কিন্তু, মাত্র ৪ বছরে শেয়ার থেকে ২৫ কোটি আয়? শুনতে অবাক লাগলেও আমাদের দেশেই রয়েছে এই বড় লাভের নজির। কথা হচ্ছে ডলি খান্নাকে নিয়ে। তাঁর পোর্টফোলিওতেই মিলেছে এই বিশাল লাভ। তবে তিনি নিজে বিনিয়োগ করেন না। তাঁর পোর্টফোলিও ম্যানেজ করেন তাঁর স্বামী রাজীব খান্না। সূত্রের খবর, এই রাজীব খান্না ১৯৮৬ সালে Kwality Milk Foods and Ice Cream নামে একটি সংস্থা খোলেন। শুরু থেকেই ব্যবসায় ছিল ভালই গতি। লাভের মুখও দেখতে শুরু করেন অচিরেই। 

সূত্রের খবর, ১৯৯৫ সালে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারকে নিজের কোম্পানি বেচে দেন। সংস্থা বিক্রির কারণে সেই সময় একইসঙ্গে মোটা টাকা হাতেও পেয়ে যান। তিনি সেই সময় ওই টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, কোথায় বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যত আরও সুরক্ষিত হতে পারে তা ভাবতে গিয়ে চিন্তায় পড়ে যান তিনি। শোনা যায়, সেই সময় ওই টাকা তিনি ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটে রেখে দেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে শখের বসেই শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেন। প্রথম টাকা লাগান সত্যম কম্পিউটার নামে একটি সংস্থার শেয়ারে। শুনতে অবাক লাগলেও, তাঁর বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের পিছনে আসল কারণটা ছিল অবাক করা। তিনি জানতেন তাঁর এক প্রতিবেশীর ছেলে এই সংস্থায় কাজ করেন। সেখান থেকেই সত্যম কম্পিউটারের সঙ্গে তার পরিচিতি। বিনিয়োগের পরেই দেখতে শুরু করেন লাভের মুখ। 

এরপরই তিনি আরও একাধিক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। ২০০৩ সালেই তাঁর বিনিয়োগ করা রাশি তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে এই সময় আবার টেক স্টক গুলির মার্কেট ভাল যাচ্ছিল না। এদিকে এরইমধ্যে ইউনিটেক কোম্পানি নিয়ে তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। ইউনিটেকের কর্মকাণ্ড দেখে তিনি বেশ আপ্লুত হন। তারপরই ইউনিটেকের স্টকে ৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন। ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে ইউনিটেকের একটি স্টকের দাম ছিল ৯০ পয়সার কাছে। ৪ বছর পর এই স্টকেরই দাম ৫০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০০৮ সালের ১১ জানুয়ারি দাম দাঁড়ায় ৫১৯ টাকা। সে কারণেই রাজীব খান্নার ৫ লাখের শেয়ারের দাম হয়ে গিয়েছিল ২৫ কোটি টাকা। 

বিঃ দ্রঃ – এটি একটি শেয়ার বাজার এবং বিনিয়োগ সম্পর্কিত শিক্ষামূলক প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য কখনই বিনিয়োগে উৎসাহিত করা বা মুনাফা কামানোর সহজ উপায় খুঁজে দেওয়া নয়। শেয়ার বাজারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানানোই এই প্রতিবেদনের অন্যতম লক্ষ্য। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ।