John Chambers: ‘এগিয়ে যাবে ১ নম্বর হওয়ার দিকে…’, ভারত নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী মার্কিন শিল্পপতি চেম্বার্সের

John Chambers: ভারত নিয়ে ২০২৪ সালের জন্য বড় ভবিষ্যদ্বাণী করলেন মার্কিন নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাতা, 'সিসকো' সংস্থার চেয়ারম্যান এমেরিটাস তথা ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের চেয়ারম্যান জন টি চেম্বার্স। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কডইন-এ ২০২৪ সালের জন্য বিভিন্ন পূর্বাভাস দিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি।

John Chambers: 'এগিয়ে যাবে ১ নম্বর হওয়ার দিকে...', ভারত নিয়ে বড় ভবিষ্যদ্বাণী মার্কিন শিল্পপতি চেম্বার্সের
'সিসকো' সংস্থার চেয়ারম্যান এমেরিটাস তথা ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের চেয়ারম্যান জন টি চেম্বার্স (ফাইল ছবি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 15, 2023 | 1:37 PM

নয়া দিল্লি: ভারত তার ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে দাঁড়িয়ে এবং উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের অংশীদার হয়ে উঠবে। বিশ্বের ১ নম্বর অর্থনীতি হওয়ার দিকে আরও এগিয়ে যাবে ভারত। ভারত নিয়ে ২০২৪ সালের জন্য বড় ভবিষ্যদ্বাণী করলেন মার্কিন নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাতা, ‘সিসকো’ সংস্থার চেয়ারম্যান এমেরিটাস তথা ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের চেয়ারম্যান জন টি চেম্বার্স। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লিঙ্কডইন-এ ২০২৪ সালের জন্য বিভিন্ন পূর্বাভাস দিয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। তাঁর মতে ২০২৪ সাল হতে চলেছে গতির বছর, পরিবর্তনের বছর এবং এআই-কে গ্রহণ করার বছর।

ওই পোস্টে চেম্বার্স বলেছেন, “ভারত কালক্রমে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতি হওয়ার দিকে এগিয়ে যাবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কৌশলগত অংশীদার হয়ে উঠবে। ফলে, বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গতি আসবে।” ভারত নিয়েএত বড় ভবিষ্যদ্বাণী করার কারণ? চেম্বার্সের মতে, ডিজিটাল এবং এআই ইন্ডিয়ার মতো উদ্যোগের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বের অন্যান্য বড় অর্থনীতির সঙ্গে সহযোগিতামূলক এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত। এই পদক্ষেপগুলিই ভারতের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।

প্রসঙ্গত, এর আগেই ভারতের পক্ষে বড় বাজি ধরেছিলেন চেম্বার্স। চলতি বছরেই ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে, চেম্বার্স বলেছিলেন, “আমি মতে (ভারতের অগ্রগতির) এখনও কিছুই দেখা যায়নি। লোকে আমাকে জিজ্ঞেস করে, কবে ভারত জিডিপির নিরিখে বিশ্বের পাঁচ নম্বর দেশ থেকে তিন নম্বরে দেশে পরিণত হবে? আমি তাদের বলি, প্রশ্নটা ভুল। সঠিক প্রশ্ন হল, ভারত কখন বিশ্ব জিডিপিতে এক নম্বর হবে। যদি তারা ভালভাবে কাজ করে যায়, তবে এটা হওয়া অনিবার্য। আমি ভারতকে উত্পাদনের একটি শক্তিকেন্দ্র হিসেবে দেখতে চাই।”

প্রসঙ্গত চলতি মাসের শুরুতে, এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ২০৩০-এর মধ্যেই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে। রেটিং এজেন্সিটি জানিয়েছিল, আগামী তিন বছরে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশগুলির মধ্যে ভারতের অর্থনীতিই সবথেকে দ্রুত বাড়বে। ২০২৬ সালের মধ্যে জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে পৌঁছবে। চলতি আর্থিক বছরে জিডিপি বাড়তে পারে ৬.৪ শতাংশ।

তবে, শুধু ভারত নিয়েই নয়, ২০২৪-এ এআই-এর ক্রমবর্ধমান ব্যবহার নিয়েও পূর্বাভাস দিয়েছেন চেম্বার্স। তাঁর মতে, এই বছরই মূলধারায় মিশে যাবে এআই প্রযুক্তি। চেম্বার্সের দাবি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই হবে সবথেকে মৌলিক প্রযুক্তিগত পরিবর্তন। তিনি বলেছেন, “সম্পূর্ণভাবে মূলধারায় চলে আসবে এআই। আমি আগে বলেছিলাম, ২০২২ সালে এটি ফিরে আসছে। আমরা ২০২৩-এ এর সূচনা দেখেছি। কিন্তু ২০২৪ এই প্রযুক্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। পাকাপাকিভআবে আমরা ডিজিটাল যুগ থেকে এআই যুগে স্থানান্তরিত হব। ২০২৪-এ প্রতিটি সংস্থার মধ্যে এআই ব্যবহারের চাহিদা দেখা যাবে। মূল্যায়ন থেকে উপার্জন পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করবে এআই। যে স্টার্টআপগুলি এআই ব্যবহার এড়িয়ে যাবে, তারা দ্রুতই মুখ থুবরে পড়বে। বড় সংস্থাগুলিও এআই ব্যবহার না করলে ব্যর্থ হবে। তবে তাদের পতন ঘটবে অনেক ধীর গতিতে।”