First mobile call in India: ভারতে প্রথম মোবাইলে কল করেছিলেন জ্যোতি বসু, কত খরচ পড়েছিল জানেন?

First mobile call in India: ভারতে প্রথম মোবাইল ফোনে কল করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে তিনি ফোন করেছিলেন দিল্লির সঞ্চার ভবনে, পিভি নরসীমা সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী, সুখ রামকে। নোকিয়া সংস্থার একটি মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করে ঐতিহাসিক কলটি করেছিলেন জ্যোতি বাবু। কত খরচ পড়েছিল?

First mobile call in India: ভারতে প্রথম মোবাইলে কল করেছিলেন জ্যোতি বসু, কত খরচ পড়েছিল জানেন?
প্রথম মোবাইল কল জ্যোতি বসুর
Follow Us:
| Updated on: Aug 04, 2024 | 3:28 PM

কলকাতা: ৩১ জুলাই তারিখটি, ভারতের টেলি যোগাযোগের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। ১৯৯৫ সালে এই দিনেই ভারতে প্রথম মোবাইল ফোনে কল করা হয়েছিল। কলটি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং থেকে তিনি ফোন করেছিলেন দিল্লির সঞ্চার ভবনে, পিভি নরসীমা সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী, সুখ রামকে। নোকিয়া সংস্থার একটি মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করে ঐতিহাসিক কলটি করেছিলেন জ্যোতি বাবু। ভারতের বিকে মোদী এবং অস্ট্রেলিয়ার টেলস্ট্রার সংস্থার যৌথ উদ্যোগে কলকাতা ও দিল্লির মধ্যে, মোদী টেলস্ট্রা নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছিল। সেটিই ছিল ভারতের প্রথম মোবাইল নেটওয়ার্ক, যা কলকাতা এবং নয়া দিল্লি শহরকে জুড়েছিল। ১৯৯৪ সালেই মোদী টেলস্ট্রার চেয়ারম্যান বিকে মোদীকে কলকাতায় স্বাগত জানিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন, যাতে কলকাতা থেকেই ভারতের প্রথম মোবাইল ফোন কলটি হয়। সেই কথা রেখেছিলেন বিকে মোদী।

১৯৯৫ সালে মোবাইল ফোনে কল করাটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল ছিল। সেই সময় মোবাইল ফোনে প্রতি মিনিটে ৮.৪ টাকা করে খরচ হয়েছিল। ইনকামিং কল এবং আউটগোয়িং কল দুই ধরনের কলের জন্যই টাকা লাগত। পিক আওয়ারে, প্রতি মিনিট কথা বলার জন্য খরচ বেড়ে যেত। সেই সময় প্রতি মিনিট কথা বলার জন্য ১৬.৮ টাকা পর্যন্ত লাগত। তারপর থেকে ভারতে মোবাইল যোগাযোগের ছবিটা নাটকীয়ভাবে পাল্টে গিয়েছে। আজ, মোবাইলে ফোন কল করাটা আর ব্যয়বহুল নয়। গ্রাহকদের কল চার্জ নিয়ে আর চিন্তা করতে হয় না। ২০১৬ সালে টেলিকম বাজারে রিলায়েন্স জিও-র প্রবেশ এক প্রকার বিপ্লব ঘটিয়েছিল। তাদের চাপে পড়ে বাকি টেলিকম অপারেটররাও কল রেট কমাতে বাধ্য হয়েছে। কল রেট এখন অনেক বেশি সাশ্রয়ী। শুধু ফোন কল করাই নয়, মোবাইল ইন্টারনেটের খরচও অনেক কমে গিয়েছে।

বর্তমানে মোবাইল ফোন স্মার্ট ফোনে পরিণত হয়েছে। আজকের মোবাইল সেটগুলি ক্যামেরা, মিউজিক প্লেয়ার এবং পকেট পিসির সংমিশ্রন। আজকাল পেমেন্ট অ্যাপগুলির মাধ্যমে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিল পেমেন্টও করছে। জিপিএস প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয়েছে খাদ্য বিতরণকারী অ্যাপ, ক্যাব অ্যাপের মতো নয়া ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে, স্মার্টফোনের দৌলতে, ভারতের ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষের জীবন বদলে গিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি সুবিধা স্মার্টফোনের মাধ্যমেই সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে তাদের কাছে। স্মার্টফোন না থাকলে ভারতের মতো বিশাল দেশে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করাটা আরও কঠিন হয়ে পড়ত।