Ratan Tata: মনে ছিল ১০ বছর আগের অপমান, ‘রতন চিনেই’ মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিলেন টাটা
Ratan Tata: শুরুটা ১৯৯৯ সালে। সেই বছর বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল রতন টাটার গাড়ি সংস্থা টাটা মোটরস। সেই সময় তিনি ঠিক করেছিলেন তিনি চারচাকার ইউনিট ফোর্ডের কাছে বেচে দেবেন। সূত্রের খবর, সেই সময় এ বিষয়ে কথা বলতে বিল ফোর্ডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রতন টাটা।
কলকাতা: বুধবারই ৮৬ বছরে পা দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি রতন টাটা। তবে শুধু শিল্পপতি হিসাবে নয়, নানা সামাজিক কাজের জন্যই সাম্প্রতিককালে প্রায়শই তাঁকে নিয়ে চর্চা চলে সোশ্যাল পাড়ায়। কিন্তু, শুধু শিল্পপতি বা সমাজসেবক হিসাবে নয়, রতন টাটার জীবনে ঘটা এমন অনেক ঘটনা আছে যা নাড়িয়ে দিতে পারে আপনার মনকে। কিছু না বলেও, কিছু না করেও কীভাবে অপমানের মধুর প্রতিশোধ নেওয়া যায় তাও যেন অজান্তেই শিখিয়ে দিয়েছেন রতনবাবু (Ratan Tata)। সালটা ২০০৮। আর্থিক মন্দার করাল গ্রাসে গোটা বিশ্ব। ভারতেও একটু একটু করে পড়তে চলেছে মন্দার ছাপ। কিন্তু, এই বছরই আবার বিশ্ব পেয়েছিল সবথেকে কম দামের চারচাকা। টাটা ন্যানো। যা কার্যত অটোমোবাইলের দুনিয়ায় নিঃশব্দ বিপ্লব করে দিয়েছিল। এই ন্যানোর কারণেই আবার জন্ম হয়েছিল সিঙ্গুর আন্দোলনের। উল্টে গিয়েছিল ৩৪ বছরের বাম শাসনের মসনদ। কিন্তু, এই ২০০৮ সালেই আর এক বিশ্ব বিখ্যাত অটোমোবাইল সংস্থার প্রতি মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফেলেছিলেন রতন টাটা।
শুরুটা ১৯৯৯ সালে। সেই বছর বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল রতন টাটার গাড়ি সংস্থা টাটা মোটরস। সেই সময় তিনি ঠিক করেছিলেন তিনি চারচাকার ইউনিট ফোর্ডের কাছে বেচে দেবেন। সূত্রের খবর, সেই সময় এ বিষয়ে কথা বলতে বিল ফোর্ডের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রতন টাটা। কথায় আছে, রতনে রতন চেনে। ফোর্ড চিনেছিলেন রতনকে। কিন্তু, খোঁচা দিতে ছাড়েননি। সাফ বলেছিলেন, আপনি যদি গাড়ি সম্পর্কে কিছুই না জানেন তাহলে কেন এসব তৈরি করতে গেলেন! একইসঙ্গে এও জানান, সঙ্কটকালে দয়া করেই ফোর্ড টাটার গাড়ির ব্যবসাকে কিনতে চলেছে। এ কথা বড্ড গায়ে লেগেছিল রতনবাবুর। কিন্তু, মুখে কিছুই বলেননি। শুরু হয়েছিল অপেক্ষা। বদলার সঠিক সময়ের।
এদিকে গাড়ি ব্যবসা বন্ধের সিদ্ধান্ত ততক্ষণে বাতিল করে ফেলেছেন রতন টাটা। নতুন উদ্যমে, নতুন মোড়কে শুরু হয় কাজ। তাতেই হাতেনাতে ফল পান তিনি। এদিকে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮। কেটেছে প্রায় ১০ বছর। কিন্তু, ফোর্ডের অপমান তখনও মনে রেখে দিয়েছেন টাটাবাবু। এদিকে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার কারণে সেই সময় বিশ্বের সব তাবড় তাবড় সংস্থা দেউলিয়া অবস্থার মুখে। পাকে পড়েছে ফোর্ডও। সেই সুযোগটাই কাজে লাগান রতনবাবু। কিনে ফেলেন ফোর্ডের বিখ্যাত বিলাসবহুল গাড়ির ব্যান্ড জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার। ভারতে আসেন বিল ফোর্ড। সঙ্কটকালে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদও জানান টাটাদের। এদিকে পরবর্তীতে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভারের হাত ধরে তড়তড়িয়ে আরও এগিয়ে যায় টাটাদের ব্যবসা।