তথ্য-প্রযুক্তি জগতে দেদার ‘চোরাশিকার’! Cognizant-এর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে Wipro-Infosys

Wipro-Infosys poaching accusation against Cognizant: কগনিজেন্টের বিরুদ্ধে ইনফোসিস ও উইপ্রোর অভিযোগ, এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা অনৈতিকভাবে তাদের কর্মীদের নিযুক্ত করে চলেছে। এই নিয়ে তাদের দুই প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে উইপ্রো। অন্যদিকে, এই নিয়ে সরাসরি প্রতিবাদ জানিয়ে কগনিজেন্টকে চিঠি দিল ইনফোসিস।

তথ্য-প্রযুক্তি জগতে দেদার 'চোরাশিকার'! Cognizant-এর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে Wipro-Infosys
উইপ্রো এবং ইনফোসিসের তোপের মুখে কগনিজেন্টImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2023 | 4:24 PM

নয়া দিল্লি: ভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি জগতে চলছে দেদার ‘চোরাশিকার’! এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এবার কগনিজেন্টের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে আরও দুই ‘প্রযুক্তি দৈত্য’ – উইপ্রো এবং ইনফোসিস। কগনিজেন্টের বিরুদ্ধে ইনফোসিস ও উইপ্রোর অভিযোগ, এই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা অনৈতিকভাবে তাদের কর্মীদের নিযুক্ত করে চলেছে। উইপ্রোর পক্ষ থেকে সম্প্রতি সংস্থার দুই প্রাক্তন কার্যনির্বাহীর কর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুই কর্তাই উইপ্রো ছেড়ে কগনিজেন্টে যোগ দিয়েছেন। মানিকন্ট্রোলের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ইনফোসিসও একইভাবে তাদের কয়েকজন সিনিয়র কর্তাকে হারানোর পর, এই ‘চোরাশিকারে’র বিষয়ে কগনিজেন্টের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগেই কগনিজেন্টকে এই চিঠি পাঠিয়েছে ইনফোসিস। এই ক্ষেত্রে ‘নন-কমপিট ক্লজ’ বলবৎ করার উপায় নেই ইনফোসিসের। তবে, তারপরও কগনিজেন্টকে লেখা ইনফোসিসের এই চিঠি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। অন্য সংস্থার কর্মী বা কর্তাদের চোরাশিকারের ক্ষেত্রে এই চিঠি প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কগনিজেন্টের সিইও-র দায়িত্ব নিয়েছিলেন রবি কুমার। তিনি আগে ইনফোসিসে ছিলেন। কগনিজেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে, তিনি ইনফোসিস এবং উইপ্রো-সহ বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা থেকে প্রায় ২০ জন কার্যনির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং ৪ জন সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করেছেন। অন্যান্য সংস্থা থেকে কর্তাদের নিয়োগ করে, তাদের প্রাক্তন সংস্থাগুলির গোপন তথ্যও সংগ্রহ করছে কগনিজেন্ট, এই গুজবও রয়েছে।

সম্প্রতি উইপ্রো ছেড়ে কগনিজেন্টে যোগ দিয়েছেন উইপ্রোর প্রাক্তন চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার যতীন দালাল। এরপরই উইপ্রো সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০০২ সালে উইপ্রোয় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর তিনি সংস্থা থেকে ইস্তফা দেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই কগনিজেন্ট যতীন দালালকে তাদের নতুন সিএফও হিসাবে ঘোষণা করেছিল। এরপরই মামলা করেছে উইপ্রো। যতীন দালাল পাল্টা আদালতের বাইরে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন আদালতে। এর আগে, প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ হকের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছিল উইপ্রো। তাঁর বিরুদ্ধেও কগনিজেন্টে যোগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, নয়া সংস্থায় যোগ দিয়ে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত ই-মেইল থেকে উইপ্রোর গোপন তথ্য ফাঁস করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।