ITR Filing: আয়কর রিটার্ন ভেরিফিকেশনের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে? জেনে নিন কী করবেন…

ITR Verification: আইটিআর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ভেরিফিকেশন না হলে কী করবেন?

ITR Filing: আয়কর রিটার্ন ভেরিফিকেশনের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে? জেনে নিন কী করবেন...
আয়কর রিটার্ন জমা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 8:21 PM

নয়াদিল্লি: আয়কর রিটার্ন জমা করা আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক কাজের মধ্যে একটি। নির্দিষ্ট সময়ের আগে আইটিআর ফর্মটি পূরণ করে জমা দেওয়া অত্যন্ত আবশ্যিক। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ এবং সঠিক তথ্য এবং অন্যান্য তথ্য সহ নির্ধারিত তারিখে বা তার আগে আয়কর রিটার্ন জমা করা অপরিহার্য। ২০২০-২১ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করার শেষ তারিখ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর।

আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ ধাপ হল আইটিআর ভেরিফিকেশন। আয়কর আইন অনুসারে, আয়কর রিটার্ন জমা করার দিন থেকে শুরু করে ১২০ দিনের মধ্যে আইটিআর ভেরিফিকেশন করতে হবে। একজন করদাতা ছয়টি পৃথক উপায়ে তাঁদের আয়কর রিটার্ন ভেরিফিকেশন করতে পারেন। আইটিআর পাঁচটি ভিন্ন উপায়ে বৈদ্যুতিনভাবে ভেরিফিকেশন করা যেতে পারে। কেউ চাইলে একটি কপি সেন্ট্রালাইজড প্রসেসিং সেন্টার (CPC), বেঙ্গালুরুতে পাঠিয়েও ভেরিফিকেশন করতে পারেন।

মনে রাখবেন, যদি একটি আইটিআর ফাইল করার ১২০ দিনের মধ্যে ভেরিফিকেশন করা না হয়, তাহলে ট্যাক্স রিটার্নটি আয়কর বিভাগ দ্বারা বৈধ রিটার্ন হিসাবে বিবেচিত হবে না। আইটিআর ভেরিফিকেশন না হলে কর বিভাগের থেকে তা প্রক্রিয়াকরণের জন্যও নেওয়া হবে না। এছাড়াও, সংশ্লিষ্ট করদাতা নিজের দাবি করা কোনও ট্যাক্স রিফান্ডও পাবেন না, যদি না তিনি আইটিআর ভেরিফিকেশন না করে থাকেন।

আইটিআর নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ভেরিফিকেশন না হলে কী করবেন:

যদি আইটিআর ভেরিফিকেশন না হওয়ার জন্য একটি প্রকৃত কারণ থাকে, তাহলে একজন ব্যক্তি ই-ফাইলিং আয়কর পোর্টালে একটি বিলম্বের অনুরোধ (Condonation delay)ফাইল করতে পারেন। এই ধরনের একটি অনুরোধ ফাইল করার সময়, তাদের আগে কেন আইটিআর ভেরিফিকেশন করা হয়নি তা ব্যাখ্যা করে কারণ উল্লেখ করতে হবে। কিছু শর্ত পূরণ করা হলে আয়কর বিভাগ বিলম্বের অনুরোধ গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু মাপকাঠি রয়েছে। সেগুলি হল —

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে রিটার্ন দাবি করছেন প্রকৃত এবং সঠিক হতে হবে; যে আয়ের জন্য ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করা হয়েছে তা অন্য কোনো ব্যক্তির হাতে যেন না যায়; সংশ্লিষ্ট করদাতার সত্যি সত্যিই এমন কোনও সমস্যা হয়েছিল, যার কারণে আয়কর রিটার্ন সময়মতো ভেরিফিকেশন করা হয়নি।

আপনার ট্যাক্স রিটার্ন ভেরিফিকেশন না হলে, কীভাবে ‘কনডোনেশন ডিলে’র আবেদন করবেন?

ধাপ ১: আয়কর পোর্টালে আপনার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। ধাপ ২: আপনার ড্যাশবোর্ডে ‘সার্ভিসেস’ ট্যাবে যান, সেখানে ‘কন্ডোনেশন রিকোয়েস্ট’ অপশনটি বেছে নিন। ধাপ ৩: ‘কন্ডোনেশন রিকোয়েস্ট পেজ’-এ, আপনি যে ধরনের কনডোনেশন রিকোয়েস্ট করতে চান সেটি বেছে নিন। (বর্তমানে আয়কর বিভাগ শুধুমাত্র একটি বিকল্প দেখায়: আইটিআর-ভি জমা দিতে বিলম্ব)। এটি নির্বাচন করুন এবং ‘কনটিনিউ’-এ ক্লিক করুন। ধাপ ৪: ‘আইটিআর-ভি জমা দিতে বিলম্ব’ পাতায়, ‘ক্রিয়েট কন্ডোনেশন রিকোয়েস্ট ‘-এ ক্লিক করুন। ধাপ ৫: ‘সিলেক্ট আইটিআর পেজ’-এ, যে রেকর্ডটির জন্য আপনি আইটিআর-ভি জমা দিতে বিলম্বের জন্য অনুরোধ করতে চান সেটি বেছে নিন এবং ‘কনটিনিউ’-এ ক্লিক করুন। ধাপ ৬: নির্দিষ্ট স্থানে, আপনার বিলম্বের কারণ বেছে নিন এবং ‘সাবমিট’ ক্লিক করুন।

একটি ট্রানজ়াকশন আইডি সহ আপনার আবেদনটি সম্পন্ন হওয়ার একটি ম্যাসেজ আসবে স্ক্রিনে। ট্রামজ়াকশন আইডির যত্ন করে রেখে দিন, এটি পরবর্তীতে দরকার হতে পারে। এছাড়াও ই-ফাইলিং পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত ইমেল আইডি এবং মোবাইল নম্বরে একটি ম্যাসেজ পাবেন আপনি।

আপনি সহজেই নতুন আয়কর পোর্টালের মাধ্যমে এই বিলম্বের অনুরোধ ট্র্যাক করতে পারেন। ‘সার্ভিসেস’ ট্যাবের অধীনে ‘কন্ডোনেশন রিকোয়েস্ট’ অপশনে গিয়ে স্ট্যাটাস ট্র্যাক করা যেতে পারে। যতক্ষণ না আপনার বিলম্বিত জমার অনুরোধ গৃহীত না হয়, আপনি আয়কর রিটার্ন ফাইল করতে পারবেন না।

যদি আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করা হয় তবে রিটার্নটি ভেরিফিকেশন হবে না এবং একটি আনভেরিফায়েড রিটার্নকে আয়কর আইনের অধীনে একটি অবৈধ রিটার্ন হিসাবে গণ্য করা হবে। এর ফলে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল না করার সমস্ত পরিণতি ব্যক্তিকে বহন করতে হবে। যদি মূল্যায়নকারীর একটি বিলম্বিত জমার অনুরোধ মঞ্জুর না করা হয়, তাহলে আয়কর আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন : Post Office Schemes: মাসে ১৫০০ টাকার বিনিয়োগে ম্যাচুরিটিতে ৩৫ লাখ! জানুন পোস্ট অফিসের এই স্কিম