চিনিতেই চান্স নিচ্ছে ভারত : চলতি মরশুমে ৫.২ লাখ টন চিনি রপ্তানির প্রচেষ্টা

১ লা অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ মরশুমে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৫.২ লাখ ট ন চিনি রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে , যা পূর্ব রেকর্ড ভাঙবে বলে আশা বাণিজ্য়িক মহলের।

চিনিতেই চান্স নিচ্ছে ভারত : চলতি মরশুমে ৫.২ লাখ টন চিনি রপ্তানির প্রচেষ্টা
চিনির চাহিদা পূরণে শীর্ষে ভারত
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 10:57 AM

TV9 বাংল ডিজিটাল ডেস্ক :  চিনিতেই (Sugar) বিষ! স্বাস্থ্য়হানির মূল কারণ চিনিতেই (Sugar) এবার পাখির চোখ ভারতের (India) । বিশ্বের শীর্ষ চিনি উৎপাদক ভারত এ মরশুমে রেকর্ড পরিমাণ চিনি রপ্তানি করতে চায়। ১ লা অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ মরশুমে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৫.২ লাখ ট ন চিনি রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে , যা পূর্ব রেকর্ড ভাঙবে বলে আশা বাণিজ্য়িক মহলের।

চলতি বছরে চিনি রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ । রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকলে ৫.২ লাখ টনে শীঘ্রই পৌঁছবে আশা রাখে খাদ্য়মন্ত্রক( Food Ministry)।

চিনি রপ্তানি বাড়লেও কমছে উৎপাদন। প্রান্তীয় অঞ্চলে(Rural Area)  চাহিদা বৃ্দ্ধির চেষ্টায় চিনির কলগুলি উঠে পড়ে লেগেছে। উৎপাদন কম। আন্তর্জাতিক বিশ্ববাজারে চাহিদাপূরণেও তাই আশঙ্কা দেখছে ব্যবসায়িক মহল।

এদিকে চলতি মরশুমে ভারত চিনি রপ্তানি বাড়ালে সেটি ব্রাজিল(Brazil), থাইল্যান্ড (Thailand) ও অস্ট্রেলিয়ার (Australia) মতো দেশগুলোর আন্তর্জাতিক বাজারে রীতিমতো প্রতিযোগিতা বাড়াবে। পাশাপাশি নিউইয়র্ক (New York) ও লন্ডনের (London) বেঞ্চমার্কে চিনির দাম কমিয়ে আনতে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (WTO) সংস্থার সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি আরো তীব্র আকার ধারণ করতে পারে ।

ব্যস্ত শহুরে ডায়েটে চিনি (Sugar)এখন লুপ্তপ্রায়। চিনির বদলে স্বল্প শর্করা ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আরবান-মার্কেটে চিনির চাহিদা তৈরি করতে সোশ্য়াল ক্য়াম্পেনিং (Social Campaign) চালাচ্ছে চিনির কলগুলি (Indian Sugar Mill)। ডায়েটিশিয়ান (Dietitian)থেকে স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের (Health Consultant) মতামত নিয়েই চলছে এই ক্য়াম্পেইন ।

“পরিমাণমতো চিনি শরীরের জন্য শুধু উপকারি নয়, প্রয়োজনীয়ও বটে। পেশিশক্তি থেকে মস্তিষ্কক্ষম ; সবেতেই চিনির দরকার. বিশেষ করে তাদের, যাদের চিনির বিকল্প নেই। ” বলছেন এক মিল সম্পাদক।

কয়েক বছর ধরে ভারতের বাজারে (Indian Market) চিনির (sugar) মজুদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উদ্বৃত্ত এসব চিনি রপ্তানি করতে বিগত দুইবছর ভারত সরকার প্রতি টন চিনি রপ্তানিতে প্রায় ১০ হাজার টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে, যা মরশুমের শুরু থেকে রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করছে।

ব্যবসায়ীদের মত, ফ্রি অন বোর্ডের (FOB) ভিত্তিতে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনির গড় মূল্য ৩০০ এবং পরিশোধিত চিনির গড় মূল্য ৩৩০ ডলার নির্ধারণ করে রপ্তানি চুক্তি করা হয়েছে।

এ মরশুমে তিন মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহের লক্ষ্যে এরই মধ্যে ২০ লাখ টন চিনির রপ্তানি চুক্তি করে ফেললেও গত মরশুমের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৮ লাখ ৫০ হাজার টন। সমীক্ষা বলছে, ২০০০-২০১৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে বছর প্রতি চিনির চাহিদা গড়ে ২৩% আর ভারতে ১৯% । অর্থাৎ , কমেছে চিনির চাহিদা।

খাদ্য়মন্ত্রক আমলা সুধাংশু পান্ডা জানিয়েছেন বছরপ্রতি চিনির দেশীয় চাহিদা বাড়লে উদবৃ্ত্ত চিনিও রপ্তানি সহজ হবে। সাশ্রয় হবে ভর্তুকি মূল্য ।

এরই মধ্যে চিনি রপ্তানি বাড়াতে ভারত সরকারের ভর্তুকিকে অন্যায্য বলে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) কাছে নালিশ করেছে ব্রাজিল(Brazil), অস্ট্রেলিয়া (Australia)ও গুয়াতেমালা (Guatemala) । চিনি উৎপাদনে ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ব্রাজিল বলছে, রপ্তানি  ভারতের অন্যায্য ভর্তুকিতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাতে সহায়তা করবে।

চিনিতেই চোখ বিশ্ববাজারের। এই দৌড়ে কতটা সফল হবে ভারত বলবে সময়।