Down Dalal Street: রক্তাক্ত দালাল স্ট্রিট, কয়েক দিনে ধুয়ে মুছে সাফ ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকা

Landslide fall Stock Market: গত পাঁচ দিনে ১৭ লক্ষ৫৪ হাজার কোটি টাকা ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে শেয়ার বাজার থেকে। গত ডিসেম্বর থেকে শেয়ার বিক্রি করতে দেখা যায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।

Down Dalal Street: রক্তাক্ত দালাল স্ট্রিট, কয়েক দিনে ধুয়ে মুছে সাফ ১৭ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকা
ছবি- PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 24, 2022 | 4:16 PM

মুম্বই: একদিন নয় পর পর পাঁচ দিন মুখ থুবড়ে পড়ল শেয়ার বাজার। সপ্তাহের প্রথম দিন প্রায় ৪০০ পয়েন্ট নীচে খোলে সেনসেক্স। নিফটি খোলে ১০০ পয়েন্ট নীচে। কিন্তু বেলা যত গড়ায় দুই সূচকের রক্তক্ষরণ ক্রমশই বৃদ্ধি পায়। বেলা আড়ইটে নাগাদ সেনসেক্স সূচকের ১৯০০ পয়েন্ট পতন লক্ষ করা যায়। গত কয়েক সপ্তাহে নজিরবিহীন পতন শেয়ার বাজারে। প্রায় সব সেক্টরের শেয়ার দর ব্যাপকভাবে পড়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি, ধাতুর শেয়ার তাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু বাজেটের আগে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার বাজারের পতনের কারণ কী? কোন কোন বিষয় অনুঘটকের মতো কাজ করছে দালাল স্ট্রিটের রক্তক্ষরণের জন্য?

বিশ্ব শেয়ার বাজার:

আগামিকাল থেকে দুই দিনের বৈঠকে বসছে আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বন্ড, মুদ্রাস্ফীতি-সহ একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে পারে ফেড ব্যাঙ্ক। এছাড়া নয়া ফেড পলিসিই বা কী হতে চলেছে, যার উপর বেশি প্রভাব পড়তে পারে তথ্য প্রযুক্তি-টেকনলজি সেক্টরে। এমনই বেশ কিছু আশঙ্কা-উদ্বেগ নিয়ে কয়েকদিন ধরে আমেরিকার শেয়ার বাজারে টালমাটাল দেখা গিয়েছে। গত শুক্রবার ন্যাসড্যাক সূচক ৩৮৫ পয়েন্ট পড়ে বন্ধ হয়। তার প্রভাব পড়েছে ইউরোপের বাজারেও। এফটিএসই, ক্যাক, ড্যাক সূচকের পতন দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে আজ এশিয়ার বাজারে হংকংয়ের সূচক হ্যাংস্যাংও পড়েছে ৩০০ পয়েন্টের মতো।

বিভ্রান্তিতে বিনিয়োগকারী:

গত পাঁচ দিনে ১৭ লক্ষ৫৪ হাজার কোটি টাকা ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়েছে শেয়ার বাজার থেকে। গত ডিসেম্বর থেকে শেয়ার বিক্রি করতে দেখা যায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। সে সময় শেয়ার কিনে বাজারের স্থিতাবস্থা ঠিক রাখার চেষ্টা করে ঘরোয়া বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু সামনেই সাধারণ বাজেট। ভোটমুখী রাজ্যগুলির দিকে মাথায় রেখে সরকার এগোবে না ২০২৪-কে লক্ষ্য রেখে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার পথে হাঁটবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় বিনিয়োগকারীরা। স্বভাবতই ধীরে চলো নীতিতে এগোচ্ছেন তাঁরা। যার কারণে বাজারে পতন অব্যাহত।

টেক শেয়ারে টেনশন:

আমেরিকার টেকনলজি শেয়ারে ধারাবাহিক মন্দা লক্ষ্য করা গিয়েছে। ফেড পলিসি কী দাঁড়ায় তার আগাম উচাটন দেখা যাচ্ছে মার্কিন টেক শেয়ারগুলিতে। যার প্রভাব ভারতেও পড়েছে। বিশেষ করে সে সব শেয়ার সবেমাত্র লিস্টিং হয়েছে, তাদের পারফর্ম আশাপ্রদ নয়। পেটিএম শেয়ারের পতনে ত্রস্ত নতুন সংস্থাগুলি, যারা ইতিমধ্যে শেয়ার বাজারে প্রবেশের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এছাড়া জ়োম্যাটো, নায়কা লিস্টিং হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২১ শতাংশ শেয়ার দর পড়েছে। উল্লেখ্য, শেয়ার বাজারে দুর্দান্ত অভিষেক করে নায়কা ও জ়োম্যাটো।

অশোধিত তেলে পিচ্ছল বাজার

আরও এক বার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে অশোধিত তেলের দর। ব্রেন্ট ক্রুডের দর ব্যারেল প্রতি ৮৭.৮৯ ডলার। একমাসে প্রায় ১৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে জ্বালানির দাম। স্বভাবতই ভারতেও বৃদ্ধি পাবে পেট্রল ডিজেলের দাম। দোসর হবে মূল্যবৃদ্ধিও। এখনই আকাশ ছোঁয়া জিনিসপত্রের দাম। মূল্যবৃদ্ধিকে মাথায় রেখে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেটের হার বেশ কয়েক মাস ধরে অপরিবর্তিত রেখে এসেছে।

শেয়ারেও মূদ্রাস্ফীতি:

করোনাকালে দেশের অর্থনীতি নুইয়ে পড়লেও শেয়ার বাজার একের পর এক শৃঙ্গ জয় করেছে। টিকাকরণ সাফল্য অক্সিজেন জুগিয়েছে বাজারকে। প্রায় সব সেক্টেরের শেয়ার ৫২ সপ্তাহের কাছাকাছি বা স্পর্শ করেছে। অর্থাৎ বাজারের নিয়ম অনুযায়ী, কিছুটা ‘কারেকশন’ (বিক্রির আবহ) দেখা যাবে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন- দেশে ৮১ দিন পরিবর্তিত পেট্রোল ডিজেল, আন্তর্জাতিক মার্কেটে অপরিশোধিত তেলে গতি