Delhi Liqour Crisis: শহরে বন্ধ হচ্ছে একের পর এক মদের দোকান! আতঙ্কে সুরাপ্রেমীরা
Alcohol Price: বিনোদ জানিয়েছেন, এই নতুন সরকারি নীতির ফলে যাঁরা মদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাদেরও সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বেশিরভাগ মদের দোকানের পক্ষেই কর্মীদের বেতন দিয়ে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নয়া দিল্লি: দিল্লির বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় মদ জোগানে ঘাটতি হওয়ার কারণে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিভিন্ন মদের দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ দিল্লিতে মদের সংকট সবথেকে বেশি বলেই জানা গিয়েছে। মদ বিক্রেতাদের অনেকেরই দাবি, সরকারের চালু করা নতুন নীতি এবং তার ত্রুটিপূর্ণ বাস্তবয়নের কারণেই মদ জোগানে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। কনৌট প্লেস, সকেট গ্রিন পার্ক এবং দক্ষিণ দিল্লির অধিকাংশ এলাকাতে মদ পাওয়া যাচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে। কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান অ্যালকোহলিক বেভারেজ কোম্পানির ডিরেক্টর জেনারেল বিনোদ গিরি বলেন, “সরকারে নতুন নীতি সমর্থনযোগ্য হলেও তা বাস্তবায়নে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সেই কারণে মদের ক্রেতাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। প্রত্যেক অঞ্চলে দোকানের সংখ্যা বেশি, সরকারি নীতি অনুযায়ী সেই দোকান গুলিতে মদের পর্যাপ্ত জোগান মিলছে না।”
বিনোদ জানিয়েছেন, এই নতুন সরকারি নীতির ফলে যাঁরা মদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাদেরও সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বেশিরভাগ মদের দোকানের পক্ষেই কর্মীদের বেতন দিয়ে ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি জ়োনের রিজার্ভ মূল্য ২২৫ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক নিলামের মাধ্যমে দিল্লি সরকারে কোষগারে প্রায় ৯০০০ কোটি টাকা ঢুকেছে। গিরি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের শাসকদলের প্রতিবাদের ফলে ক্রেতাদের মধ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে, নতুন সরকারি নীতির বিরুদ্ধে গোটা শহরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন হয়েছিল। এমনকী নতুন নীতির বাস্তবায়নেও সমস্যা হয়েছে। এছাড়া দেরিতে লাইসেন্স পাওয়ার কারণে বিক্রেতাদের আগে থেকেই লোকসানের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। দিল্লিতে তৈরি হওয়া সুরা-সংকট মেটাতে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার কী পদক্ষেপ করে, সেটাই এখন দেখার।