Consumer Court: বার্গারের দামে অতিরিক্ত ১০ টাকা নেওয়ার মাশুল, ১৫৫০০ টাকার জরিমানা গুনতে হবে এই রেস্তরাঁকে…

Extra Charge: কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, হার্ডিজ বার্গার ২৬০ টাকা নিয়েছিল ফ্রায়েড চিকেন বার্গারের জন্য। ১০ টাকা নেওয়া হয়েছিল প্য়াকেজিং চার্জ বাবদ। এছাড়া ২৯ টাকা ডেলিভারি চার্জ ও ট্যাক্স বাবদ ১৩ টাকা নেয়। কমিশনের মতে, এত চার্জের পরও ১০ টাকা ডেলিভারি চার্জ নেওয়া অতিরিক্ত।

Consumer Court: বার্গারের দামে অতিরিক্ত ১০ টাকা নেওয়ার মাশুল, ১৫৫০০ টাকার জরিমানা গুনতে হবে এই রেস্তরাঁকে...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2022 | 7:35 AM

চণ্ডীগঢ়: ৩১২ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন একটা বার্গার, বিল মেটাতে গিয়ে দেখলেন অতিরিক্ত ১০ টাকা নেওয়া হয়েছে প্যাকিং চার্জ বাবদ। কেন এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হবে, তার উত্তর জানতেই ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দারস্থ হয়েছিলেন পঞ্জাবের চণ্ডীগঢ়ের বাসিন্দা প্য়ান্সি সিং। মোহালির কনজিউমার ডিসপুট রিড্রেসাল কমিশনের তরফে ওই অভিযোগ শুনে ও গোটা বিষয়ের তদন্ত করে জরিমানা করা হল ওই রেস্তরাঁকেই। ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে ওই রেস্তরাঁকে।

ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে দায়ের হওয়া অভিযোগ অনুযায়ী, চণ্ডীগঢ়ের বাসিন্দা প্য়ান্সি সিং মোহালির ‘হার্ডিজ় বার্গার’ থেকে একটি ফ্রায়েড চিকেন বার্গার কিনেছিলেন ৩১২ টাকা দিয়ে। ডেলিভারির সময় তিনি দেখতে পান যে অতিরিক্ত ১০ টাকা নেওয়া হয়েছে বার্গারের প্যাকিং চার্জ বাবদ। ডেলিভারির সময় কেন অতিরিক্ত ১০ টাকা নেওয়া হবে প্যাকিংয়ের জন্য, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন ওই মহিলা।

এই বিষয়ে জানতে চেয়েই তিনি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানান। হার্ডিজ বার্গারকে অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিস পাঠানো হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু ওই রেস্তরাঁ হাজিরা দিতে অস্বীকার করে।  কমিশন গোটা অভিযোগ শুনে জানায়, যেহেতু হার্ডিজ বার্গার হাজিরা দিকে অস্বীকার করেছে, তাই অভিযোগকারীর সপক্ষেই রায়দান করা হচ্ছে হলফনামা  নথির ভিত্তিতে।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, হার্ডিজ বার্গার ২৬০ টাকা নিয়েছিল ফ্রায়েড চিকেন বার্গারের জন্য। ১০ টাকা নেওয়া হয়েছিল প্য়াকেজিং চার্জ বাবদ। এছাড়া ২৯ টাকা ডেলিভারি চার্জ ও ট্যাক্স বাবদ ১৩ টাকা নেয়। কমিশনের মতে, এত চার্জের পরও ১০ টাকা ডেলিভারি চার্জ নেওয়া অতিরিক্ত। ওই রেস্তরাঁয় বিভিন্ন ধরনের বার্গার বিক্রি হয়, তাই ডেলিভারির প্যাকিং চার্জ নেওয়া আসলে  অতিরিক্ত চার্জ।

কমিশনের তরফে মানসিক উদ্বেগ, হেনস্থা ও আইনি অভিযোগ জানানোর খরচ বাবদ ৫০০ টাকা দিতে বলা হয়। এছাড়া অসাধু উপায়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্যয় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।