Mukesh Ambani: মাইনে নেন না, শেয়ারও বেচেন না, কোত্থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করেন মুকেশ অম্বানি?
Mukesh Ambani income source: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে মুকেশ অম্বানি একটা পয়সাও বেতন নেননি। তিনি কখনও তাঁর শেয়ারও বিক্রি করেন না। তাহলে, কীভাবে তাঁর আয় হয়? ছেলের বিয়ের পিছনে এত বিপুল অর্থ খরচ করলেন কীকরে?
মুম্বই: এশিয়ার সবথেকে ধনী শিল্পপতি মুকেশ অম্বানি। বিশ্বব্যাপী ধনকুবেরদের তালিকাতেও একাদশতম স্থানে আছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রধান। তাঁর মোট সম্পত্তির মূল্য ৭.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা। অথচ, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে মুকেশ অম্বানি একটা পয়সাও বেতন নেননি। অর্থাৎ, ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকেই তাঁর বেতন বাবদ আয় শূন্য। বেতন না নেওয়ার পাশাপাশি, মুকেশ অম্বানি কখনও তাঁর শেয়ারও বিক্রি করেন না। তাহলে, কীভাবে তাঁর আয় হয়? ছেলের বিয়ের পিছনে এত বিপুল অর্থ খরচ করলেন কীকরে?
মুকেশ অম্বানির আয়ের প্রধান উৎস হল লভ্যাংশ। কোনও সংস্থার লাভের যে অংশটি তার শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়, তাকেই বলা হয় লভ্যাংশ। ধরা যাক, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ১০০০ কোটি টাকার মুনাফা করল। এর থেকে ৫০০ কোটি টাকা তারা সংস্থায় ফের বিনিয়োগ করল। তাহলে বাকি থাকল আরও ৫০০ কোটি টাকা। এটা তারা শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করল। এটাই হল লভ্যাংশ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের অন্যতম শেয়ারহোল্ডার মুকেশ অম্বানি। তাই, লভ্যাংশের হিসেবে তিনি বেশ মোটা অঙ্কের টাকা কামান।
অম্বানি এবং তাঁর পরিবারের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজে মোট ৫০.৩৯ শতাংশ শেয়ার আছে। এর মধ্যে মুকেশ অম্বানির শেয়ার রয়েছে ০.১২ শতাংশ বা ৮০ লক্ষ শেয়ার। রিলায়েন্স সাধারণত শেয়ার প্রতি ৬.৩০ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ বিতরণ করে। এর থেকেই শুধুমাত্র লভ্যাংশ থেকে মুকেশ অম্বানি কতটা উপার্জন করেন, তর আন্দাজ করা যায়। যেমন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ শেয়ার প্রতি ১০ টাকার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ, ৮০ লক্ষ শেয়ারের লভ্যাংশ থেকে মুকেশ অম্বানির ব্যক্তিগত উপার্জন হয়েছে ৮ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪-এ লভ্যাংশ থেকে গোটা অম্বানি পরিবারের আয় হয়েছিল প্রায় ৩,৩২২ কোটি টাকা।
লভ্যাংশ ছাড়াও, মুকেশ অম্বানির আরও কিছু আয়ের উৎস রয়েছে। আইপিএল-এর দল ‘মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে’র মালিক তিনি। এই উদ্যোগ থেকেও তাঁর উল্লেখযোগ্য আয় হয়। এছাড়া, বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্মে তিনি ব্যক্তিগতভাবে লগ্নি করেছেন। সেগুলি থেকেও মোটা অর্থ আয় হয় তাঁর। অর্থাৎ, নিজের সংস্থার লভ্যাংশ এবং বৈচিত্রপূর্ণ বিনিয়োগ থেকেই মুকেশ অম্বানি কোটি কোটি টাকা আয় করেন। বেতনও লাগে না, শেয়ারও বিক্রি করতে হয় না।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)