Lakhpati Didi: ভোটের তুরুপের তাস কি ‘লাখপতি দিদি’! লাখ টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখালেন মোদী-নির্মলা

Lakhpati Didi: বাজেটে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, সেই সব লাখপতি দিদি-দের সাফল্যকে সম্মান দেওয়া হবে। ২ কোটি মহিলাকে 'লাখপতি দিদি' তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা আগেই স্থির করা হয়েছিল। এবার সেই মাত্রা আরও বাড়িয়ে ৩ কোটি করা হচ্ছে। শুধু অর্থমন্ত্রী নন, প্রধানমন্ত্রীও এই 'লাখপতি দিদি'র কথা উল্লেখ করেছেন।

Lakhpati Didi: ভোটের তুরুপের তাস কি 'লাখপতি দিদি'! লাখ টাকার মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখালেন মোদী-নির্মলা
মহিলাদের জন্য বিশেষ স্কিম কেন্দ্রেরImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Feb 01, 2024 | 3:10 PM

নয়া দিল্লি: ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে নাকি লাখ টাকার স্বপ্ন দেখাও অন্যায়। আমাদের দেশে এই প্রবাদ বহু বছর ধরে প্রচলিত। কার কার অ্যাকাউন্টে লাখ টাকা আছে, সে হিসেব মুখে মুখে কষে ফেলা যেত। আর মহিলারা? লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন তো দূর, স্বামী কিংবা বাবার কাছে হাত পাতাই ছিল তাদের ভবিতব্য। এবার এসেছে মহিলাদের ‘ভাল দিন’। ঘরে ঘরে আজ ‘লাখপতি’ মহিলারাই। হাতে গোনা কয়েকজন নয়, কোটি কোটি মহিলার পকেটে থাকবে লাখ টাকা। তাঁদেরকেই লাখপতি দিদি বলে সম্বোধন করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু কীভাবে তাঁরা হবেন লাখপতি? লাখ টাকা পাওয়া কি মুখের কথা?

বাজেটে কী বলেছেন অর্থমন্ত্রী?

দেশের আর্থ সামাজিক পরিকাঠামো বদলে দিচ্ছেন ৮৩ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকা ৯ কোটি মহিলা। ইতিমধ্যেই এক কোটি মহিলা হয়ে উঠেছে ‘লাখপতি দিদি’। তাঁরা বাকিদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন। বাজেটে অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, সেই সব লাখপতি দিদি-দের সাফল্যকে সম্মান দেওয়া হবে। ২ কোটি মহিলাকে ‘লাখপতি দিদি’ তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা আগেই স্থির করা হয়েছিল। এবার সেই মাত্রা আরও বাড়িয়ে ৩ কোটি করা হচ্ছে। শুধু অর্থমন্ত্রী নন, প্রধানমন্ত্রীও এই ‘লাখপতি দিদি’র কথা উল্লেখ করেছেন।

‘লাখপতি দিদি’ বিষয়টা ঠিক কী?

গত বছর স্বাধীনতা দিবসে বক্তব্যে ‘লাখপতি দিদি’ যোজনার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছর রাজস্থানে সেই স্কিম চালু হয়। এই স্কিমের লক্ষ্য হল, মহিলাদের জন্য এমন ব্যবস্থা করে দেওয়া যাতে তাঁরা বছরে অন্তত ১ লক্ষ টাকা করে রোজগার করতে পারেন। কেউ হবেন অঙ্গনওয়াড়ি দিদি, কেউ হবেন ব্যাঙ্কওয়ালি দিদি কেউ হবেন মেডিসিন-ওয়ালি দিদি।

লাখপতি দিদি হতে কীভাবে সাহায্য করে সরকার?

মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই স্কিম চালু করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মহিলাদের কোনও সুদ ছাড়াই ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেবে সরকার। শুধু ঋণ দিয়েই থেমে থাকবে না সরকার। দেওয়া হবে যথাযথ প্রশিক্ষণ।

কী কী পেতে পারেন মহিলারা?

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ। এলইডি বাল্ব তৈরি করা, কলের কাজ করা, ড্রোন সারানোর মতো কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কৃষিকাজে যাতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা যায়, তার জন্য ১৫০০০ মহিলাকে ড্রোন চালানর কাজ শেখানো হবে। দেওয়া হবে ভোকেশনাল ট্রেনিংও।

কীভাবে আবেদন করা যায়?

কাছাকাছি কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন করতে হবে। কী কী প্রয়োজন সেখান থেকেই বলে দেওয়া হবে। সব তথ্য সেখানে জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে। দিতে হবে আধার কার্ড, রেশন কার্ড, আয় সংক্রান্ত সার্টিফিকেট ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য।