Fiscal Deficit Budget 2024: আয়-ব্যয়ের ঘাটতি ৫.১ শতাংশে বাঁধার লক্ষ্য নিল মোদী সরকার

Fiscal Deficit Budget 2024: ঋণের টাকা বাদ দিলে, সরকারের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হলে, তার যে ফারাক হয়, তাকেই রাজস্ব ঘাটতি বা ফিসকাল ডেফিসিট বলে। রাজস্ব ঘাটতি বাড়লে, জাতীয় ঋণের চাপ বাড়ে। এবার তা ৫.১ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য নিল মোদী সরকার।

Fiscal Deficit Budget 2024: আয়-ব্যয়ের ঘাটতি ৫.১ শতাংশে বাঁধার লক্ষ্য নিল মোদী সরকার
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Feb 01, 2024 | 2:58 PM

নয়া দিল্লি: ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য ‘ফিসকাল ডেফিসিট’ বা রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫.১%-এ আটকে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিল কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি), অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট উপস্থাপনের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি ৪.৫ শতাংশের নীচে নামিয়ে আনতে চায় মোদী সরকার। সেই লক্ষ্য়েই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন সীতারামন। তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫.৯ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হয়েছিল। কার্যক্ষেত্রে রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে তারও কম, ৫.৮ শতাংশ।

কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছরের প্রথম নয় মাসে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৯.৮২ লক্ষ কোটি টাকা। গত বছরের বাজেটে ফিসকাল ডেফিসিটের অনুমান ছিল ছিল ১৭.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সেই অনুমানের ৫৫ শতাংশ ৯ মাসেই হয়েছিল। আগের বছরের তুলনায়, এই ক্ষেত্রে সামান্য উন্নতি হয়েছে। গত বছর একই সময়ে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৯.৯৩ লক্ষ কোটি টাকা। বাজেটে রাজস্ব ঘাটতির অনুমান ছিল ১৬.৬১ লক্ষ কোটি টাকা।

নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য বাজেটে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছিল সরকারের রাজস্ব আদায় হবে ২৭.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। আর ব্যয় হবে ৪৫.০৩ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু, পরে তা সংশোধন করে, প্রাপ্তি অনুমান করা হয় ৪৪.০৯ লক্ষ কোটি টাকা এবং ব্যায় ২৭.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে সরকারের মোট ৩০.৮০ লক্ষ কোটি টাকা আয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আর ৪৭.৬৬ লক্ষ কোটি টাকার ব্যয়ের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সরকার।

ঋণের টাকা বাদ দিলে, সরকারের আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হলে, তার যে ফারাক হয়, তাকেই রাজস্ব ঘাটতি বা ফিসকাল ডেফিসিট বলে। রাজস্ব ঘাটতি বাড়লে, জাতীয় ঋণের চাপ বাড়ে। যার বিরূপ প্রভাব পড়ে দেশের অর্থনীতিতে। এর ফলে মুদ্রার দাম পড়ে যায়, যার জেরে মুখ ফিরিয়ে নেয় বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা। তাই রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ কম করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনীতীবিদ সঞ্জীব সান্যাল টুইটারে লিখেছেন, “কোভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক একত্রীকরণ অব্যাহত থাকায় রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫.৮ শতাংশ থেকে কমে ৫.১ শতাংশ হবে।”