TATA: মহাকাশে টাটা গোষ্ঠীর ‘গুপ্তচর’, এবার আর নিস্তার নেই চিন-পাকিস্তানের

TATA: ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহাকাশ থেকে ভারতকে সুরক্ষিত রাখতেই একে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি আসলে একটি নজরদার স্যাটেলাইট। মূলত সেনা ও সরকারি সংস্থাই এই ধরনের স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়ে থাকে।

TATA: মহাকাশে টাটা গোষ্ঠীর ‘গুপ্তচর’, এবার আর নিস্তার নেই চিন-পাকিস্তানের
টাটা গ্রুপ
Follow Us:
| Updated on: Apr 10, 2024 | 10:57 PM

কলকাতা: নুন থেকে গাড়ি, সফটওয়্যার থেকে বিমান, তাঁরা কোথায় নেই। বহু বছর আগে তাঁদের বিজ্ঞাপনের ক্যাচলাইন ‘ছিল উই আর এভরিহয়্যার’। টাটা গোষ্ঠী (TATA Group) এ কথা মনে হয় বলতেই পারে। সোমবার এই সংস্থার হাত ধরেই তৈরি হয়েছে আরও এক নতুন ইতহাস। টাটাদের তৈরি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাড়ি দিয়েছে। মঙ্গলবার সেটি নির্দিষ্ট কক্ষপথেও পৌঁছে গিয়েছে। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্য়ালকন রকেটে একে কক্ষপথে পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, আগামী কয়েক সপ্তাহ তাকে সেই কক্ষপথেই রাখা হবে। পাঁচ সপ্তাহ পর তথ্য পাঠাতে শুরু করবে টি স্যাট ওয়ান এ। এটাই টাটাদের স্যাটেলাইটের পোশাকি নাম।

কেন এই স্যাটালাইট পাঠালো টাটা গোষ্ঠী? 

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহাকাশ থেকে ভারতকে সুরক্ষিত রাখতেই একে মহাকাশে পাঠানো হয়। এটি আসলে একটি নজরদার স্যাটেলাইট। মূলত সেনা ও সরকারি সংস্থাই এই ধরনের স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থা হিসাবে নতুন নজির গড়ে ফেলেছে টাটারা। মিলিটারি গ্রেডের আওতায় এই স্যাটেলাইট তৈরি করেছে টাটা গ্রুপ। টাটা গোষ্ঠীর এই সাফল্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলিকে চমকে দিয়েছে। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক ইঞ্জিনিয়র সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, এটা মেড ইন ইন্ডিয়ার সাফল্যের অন্যতম উদাহরণ। 

টাটা গ্রুপের সংস্থা টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেম এটা তৈরি করেছে। এটির ডিজাইন করেছে টাটারই আরও এক সংস্থা। দুনিয়ার প্রথম বেসরকারি হাই-রেজলিউশন স্যাটেলাইট। সাধারণ স্যাটেলাইটে যে ধরনের ছবি তোলা সম্ভব তার থেকেই এই উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইটে অনেক নিখুঁত ছবি তোলা সম্ভব। এতে শত্রুর অবস্থান সম্পর্কে আরও ভাল তথ্য পাওয়া সম্ভব। অর্থাৎ চিন ও পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে কীভাবে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে, কীভাবে ভারতকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে সে সব তথ্যই এবার আগাম ভারতের হাতে চলে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে সামরিক স্ট্র্যাটেজি সাজাতে সুবিধা হবে ভারতের। অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্তারা বলছেন, সাধারণ স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো ছবি অনেক সময় আবছা হয়। সেখান থেকে নিখুঁত তথ্য পাওয়া যায় না অনেক সময়। এই উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইটের হাত ধরে সেই সমস্যা থেকে দ্রুত মিলবে মুক্তি।