UCO Bank: ঋণখেলাপীদের বাড়িতে দেওয়ালির উপহার পাঠানোর নির্দেশিকা জারি ইউকো ব্যাঙ্কের, তারপর…

আসন্ন দীপাবলি উৎসবে দেশের প্রতিটি শাখার শীর্ষ ১০ জন ঋণখেলাপির বাড়িতে মিষ্টির প্যাকেট পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করেছিল। Diwali gift: ইউকো ব্যাঙ্কের এই উদ্যোগ সঞ্জয় দত্ত অভিনীত বলিউড ফিল্ম লাগে রাহো মুন্নাভাই সিনেমার সিক্যুয়েন্স মনে করিয়ে দেয়। যেমন, মুন্নাভাইয়ের বাড়ির সামনে যারা নোংরা ফেলছে, তাদের জন্য প্রতিদিন সকালে দরজা খুলে ফুলের তোড়া ও 'গেট ওয়েল সুন' লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত মুন্নাভাই।

UCO Bank: ঋণখেলাপীদের বাড়িতে দেওয়ালির উপহার পাঠানোর নির্দেশিকা জারি ইউকো ব্যাঙ্কের, তারপর...
প্রতীকী ছবি।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2023 | 9:12 PM

নয়া দিল্লি: ঠিক যেন গান্ধীগিরি! ঋণখেলাপীদের থেকে বকেয়া টাকা উদ্ধার করতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছিল ইউকো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। আসন্ন দীপাবলি উৎসবে দেশের প্রতিটি শাখার শীর্ষ ১০ জন ঋণখেলাপির বাড়িতে মিষ্টির প্যাকেট (Diwali Gift) পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করেছিল। ইউকো ব্যাঙ্কের (UCO Bank) এই উদ্যোগ সঞ্জয় দত্ত অভিনীত বলিউড ফিল্ম ‘লাগে রাহো মুন্নাভাই’ সিনেমার সিক্যুয়েন্স মনে করিয়ে দেয়। যেমন, মুন্নাভাইয়ের বাড়ির সামনে যারা নোংরা ফেলছে, তাদের জন্য প্রতিদিন সকালে দরজা খুলে ফুলের তোড়া ও ‘গেট ওয়েল সুন’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকত মুন্নাভাই। কিন্তু, এই নির্দেশিকা জারির পর রাতারাতি ফের সেটা তুলে নিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ করে কী এমন হল?

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই ইউকো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দেশের প্রতিটি শাখায় শীর্ষ ১০ ঋণখেলাপীর বাড়িতে মিষ্টির প্যাকেট পাঠানোর নির্দেশিকা জারি করে। মূলত, নন-প্রফিটিং অ্যাসেট (NPA)-এর ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে বকেয়া আদায় করতেই এই উদ্যোগ নেয় ইউকো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। এই ভাবনা পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু, ভাবনা বাস্তবায়নের যে উপায় নেওয়ার কথা নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়, তাতেই ব্যাঙ্ক কর্মী-আধিকারিকদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়ে।

নির্দেশিকায় কী লেখা ছিল?

নির্দেশিকায় বলা হয়, ব্যাঙ্ক আধিকারিক ও ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে অহং বোধের রেষারেষির জেরেই ঋণখেলাপীর সংখ্যা বাড়ছে। বকেয়া আদায়ের জন্য যেন কোনভআবে ঋণগ্রহীতাদের হেনস্থা করা না হয়। বরং তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে বকেয়া আদায় করতে হবে। প্রতিটি শাখার ঋণখেলাপীর শীর্ষ তালিকায় থাকা ১০ জনের বাড়িতে দেওয়ালির উপহার হিসাবে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে যেতে হবে ব্যাঙ্কের জোনাল হেড-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে এই নির্দেশিকা পাওয়ার পরই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে ইউকো ব্যাঙ্কের কর্মী-আধিকারিকেরা। এটা ব্যাঙ্ক কর্মী-আধিকারিকদের পক্ষে ‘অপমানজনক’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। এরপর শুক্রবারই নির্দেশিকাটি বাতিল করে ইউকো ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে।