Uday Kotak: যুগাবসান, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের এমডি ও সিইও-র পদ ছাড়লেন উদয় কোটাক
Uday Kotak resigns: শনিবার (২ অগস্ট), সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ উদয় কোটাক নিজেই তাঁর ইস্থফার কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, সংস্থার নেতৃত্বের রদবদল মসৃণভাবে করতে আগ্রহী তিনি।
মুম্বই: চার দশকের যুগের অবসান। কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন উদয় কোটাক। এখনই তাঁর বদলে স্থায়ীভাবে কাউকে নিয়োগ করছে না সংস্থা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধান কার্যনির্বাহী কর্তার দায়িত্ব পালন করবেন সংস্থার যুগ্ম ম্যানেজিং ডিরেক্টর দীপক গুপ্তা। শনিবার (২ অগস্ট), সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ উদয় কোটাক নিজেই তাঁর ইস্থফার কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, সংস্থার এই রদবদল মসৃণভাবে করতে আগ্রহী তিনি। তিনি লিখেছেন, “আমি এই প্রক্রিয়া শুরু করলাম এবং স্বেচ্ছায় সিইও পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।” কোটাক মাহিন্দা ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান এবং পরিচালনা পরিষদকে এদিনই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন উদয় কোটাক। সেই পদত্যাগপত্র তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। সেখানে উদয় কোটাক লিখেছেন, “এই পুরো যাত্রার অংশ হওয়াটা আমি দারুণ উপভোগ করেছি। এখন এগিয়ে যাওয়ার সময়।”
উদয় কোটাক জানিয়েছেন, নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং শেয়ারহোল্ডার হিসাবে এখনও সংস্থায় নিজের অবদান রাখতে চান তিনি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনয়নের জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক। আরবিআই অনুমোদন দিলেই তাঁর উত্তরাধিকারী নিয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ ছিল তাঁর। তার বেশ কয়েক মাস আগেই সরে দাঁড়ালেন সংস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পদত্যাগপত্রে উদয় কোটাক জানিয়েছেন, তাঁর মেয়াদের শেষদিকে তাঁর ছেলের বিবাহ-সহ বেশ কিছু পারিবারিক ব্যস্ততা রয়েছে। তাই, তাঁর মতে এটাই ব্যাটন হস্তান্তরের উপযুক্ত সময়।
৩৮ বছর আগে, ১৯৮৫ সালে নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্কের। ২০০৩ সালে এটি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছিল। পদত্যাগপত্রে শুরুর সেই দিনের কথাও লিখেছেন উদয় কোটাক। তিনি জানিয়েছেন, সেই সময় সংস্থআর কর্মী সংখ্যা ছিল মাত্র ৩। মুম্বইয়ে একটি ৩০০ বর্গফুটের কার্যআলয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তাঁরা। তিনি আরও জানিয়েছেন, জেপি মর্গান, গোল্ডম্যান স্যাচসের মতো বৃহৎ আর্থিক সংস্থাগুলির নাম শুনতেম আর ভারতে সেই ধরণের একটি সংস্থা তৈরির স্বপ্ন দেখতেন। চার দশক পর, তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পদত্যাগপত্রের শেষ অংশে তিনি লিখেছেন, “আমরা এখন একটি প্রসিদ্ধ ব্যাঙ্ক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছি। বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার মৌলিক নীতির ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। আমরা আমাদের স্টেকহোল্ডারদের জন্য সম্পদ উৎপাদন করেছি এবং ১ লাখের বেশি সরাসরি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। ১৯৮৫ সালে যারা আমাদের সংস্থায় ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেছিল, তাদের অর্থ আজ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা পরিণত হয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভারতকে একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্রে পরিণত করার ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ভারতের মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি।” প্রসঙ্গত, ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে উদয় কোটাকের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৩৪০ কোটি মার্কিন ডলার।