Anti Collision System: GPS-র সুবিধা থেকে অডিয়ো-ভিজ্যুয়াল ওয়ার্নিং, দুর্ঘটনা রুখতে কতটা সক্ষম অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম?
Anti Collision System: জিপিএস ও জিপিআরএসের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েই ট্রেনের গতিবিধির রিয়েল টাইম তথ্য সংগ্রহ করা হয়। "ট্রেন টু ট্রেন' এবং 'ট্রেন টু কন্ট্রোল সেন্টার' -র নীতিতেই এই অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম কাজ করে।
নয়া দিল্লি: কাছেপিঠে কোথাও হোক বা দূরে কোথাও, বহু মানুষেরই যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভরসা রেলই। প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক যাত্রী যাতায়াত করেন ভারতীয় রেলে। বিশাল নেটওয়ার্ক ও বিপুল যাত্রী সংখ্যা, যাত্রী সুরক্ষাকেই অন্যতম প্রাধান্য দেয় ভারতীয় রেল। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই ভারতীয় রেলওয়ের তরফে আনা হয়েছে অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম। তবে শুক্রবার ওড়িশার বালেশ্বরে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, ওই রুটে ইনস্টল ছিল না অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম। যদি এই সিস্টেম থাকত, তবে আপনা-আপনিই ব্রেক কষা হত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এবং এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা এড়ানো যেত। এই দুর্ঘটনার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে এই অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম কীভাবে কাজ করে?
কীভাবে কাজ করে অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম?
জিপিএস ও জিপিআরএসের মতো আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েই ট্রেনের গতিবিধির রিয়েল টাইম তথ্য সংগ্রহ করা হয়। “ট্রেন টু ট্রেন’ এবং ‘ট্রেন টু কন্ট্রোল সেন্টার’ -র নীতিতেই এই অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম কাজ করে।
কী কী সুবিধা রয়েছে অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম?
কলিশন ডিটেকশন– জিপিএস, জিপিআরএস ব্য়বহারে ট্রেনের সামনে থাকা অন্য় ট্রেনের উপস্থিতি বা গতিবিধি সেন্সরে ধরা পড়ে। সংঘর্ষের সম্ভাবনা থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করে এই সিস্টেম।
অডিয়ো-ভিজ্যুয়াল ওয়ার্নিং– যদি সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তবে অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম সঙ্গে সঙ্গে দুটি ট্রেনেই অডিয়ো ও ভিজ্যুয়াল ওয়ার্নিং দেবে।
অটোমেটিক ব্রেক অ্যাপ্লিকেশন- যদি ট্রেন সঠিক সময়ে সতর্কবার্তার জবাব না দেয় বা গতি না কমায়, তবে অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম নিজে থেকেই ট্রেনের ব্রেক লাগাবে।
কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ- অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম ক্রমাগত সেন্ট্রালাইজড কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। ফলে ট্রেনের গতিবিধির উপরে নজর রাখা যায়।