Digital Rupee: বদলে যাবে আর্থিক লেনদেনের অভ্যাস, ই-রুপির কী কী সুবিধা রয়েছে, জানেন?

e-Rupee Features: ডিজিটাল রুপি হল ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া নোটের মতোই। শুধু তা হাতে ধরা যায় না। ই-রুপি হল ভার্চুয়াল মুদ্রা, যার অস্তিত্ব ইন্টারনেটের বিশাল দুনিয়ায়।

Digital Rupee: বদলে যাবে আর্থিক লেনদেনের অভ্যাস, ই-রুপির কী কী সুবিধা রয়েছে, জানেন?
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2022 | 8:00 AM

নয়া দিল্লি: নগদের বদলে ডিজিটাল কারেন্সি (Digital Currency) বা মুদ্রা ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে ক্রমশ। বিশ্বের বাকি দেশের মতো ভারতেও ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency) ব্যবহারের চল শুরু হয়েছে। কিন্তু এই ডিজিটাল মুদ্রার সুবিধা যেমন অনেক রয়েছে, তেমনই ঝুঁকিও রয়েছে প্রচুর। অনলাইন প্রতারণা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে মদত, ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ রয়েছে। আর সেই কারণেই সম্পূর্ণ দেশীয় ডিজিটাল মুদ্রা আনতে চলেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভারতের প্রথম ডিজিটাল রুপির পাইলট প্রকল্প শুরু করেছে। রিটেল বা বিপণনেও শীঘ্রই ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার শুরু করা হবে।

ডিজিটাল রুপি, যা সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি হিসাবেও পরিচিত, তা ইতিমধ্যেই পাইলট প্রকল্প হিসাবে বাজারে আনা হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের ফলে বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। এই মুদ্রার উপরে সরকারি শিলমোহর থাকায়, আর্থিক প্রতারণা বা ক্ষতির সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।

ডিজিটাল রুপির জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে নয়টি ব্যাঙ্ককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ব্যাঙ্কগুলি হল- স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, আইডিএফসি ফাস্ট ব্যাঙ্ক ও এইচএসবিসি।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “ডিজিটাল রুপি চালু করার ক্ষেত্রে কিছু প্রযুক্তিগত ও প্রক্রিয়াগত সমস্যা তৈরি হবে। তবে আরবিআই যাবতীয় সমস্যা দূর করেই সিবিডিসি-কে এমনভাবে বাজারে আনবে, যাতে কোনও বাধা না পড়ে।”

ডিজিটাল রুপি কী?

ডিজিটাল রুপি হল ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া নোটের মতোই। শুধু তা হাতে ধরা যায় না। ই-রুপি হল ভার্চুয়াল মুদ্রা, যার অস্তিত ইন্টারনেটের বিশাল দুনিয়ায়। ই-রুপিতে টাকা লেনদেন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে। নোট চাপানোর খরচও থাকবে না। দ্রুত আদান-প্রদান সম্ভব হবে বিনা ঝামেলাতেই। লেনদেন বা ট্রানজাকশনের জন্য অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই যাবতীয় পেমেন্ট করা যাবে। সিবিডিসি বা ই-রুপি আসল মুদ্রার সমান হওয়ায়, কাগজের নোটের বদলেও এই মুদ্রা ব্যবহার করা হবে।

ডিজিটাল রুপির সুবিধা-

ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা দরকার, ডিজিটাল মুদ্রার ক্ষেত্রে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকার প্রয়োজন নেই।

ডিজিটাল মুদ্রার কোনও মেয়াদ থাকে না। আজীবন ব্যবহার করা যায় এই ডিজিটাল মুদ্রা। পাশাপাশি ডিজিটাল মুদ্রা কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্টও হবে না। বিটকয়েনের মতো মুদ্রায় যে আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে, তা ই-রুপির ক্ষেত্রে থাকে না।

ই-রুপির ব্যবহারে সরকারের টাকাও সাশ্রয় হবে অনেকটা। কারণ কাগজের নোটের ক্ষেত্রে ছাপানো, বন্টন ও জমা রাখার জন্য খরচ থাকবে না। কাগজের উপর নির্ভরশীলতা কমায় পরিবেশও রক্ষা হবে।