Pakistan: ‘ব্র্যান্ড যুদ্ধে’ কেন রোজ ভারতের কাছে হারছে পাকিস্তান?

Pakistan brand: ভারতে একের পর এক বড় সংস্থার জন্ম হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্বের বাজারে জায়গা করে নিচ্ছে সেই সংস্থাগুলি। কিন্তু, ভারতের পাশেই অবস্থিত হয়েও পাকিস্তান এই ধরনের কোনও ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারছে না কেন? করাচির এক শীর্ষস্থানীয় উদ্যোগপতির মতে, 'পুরনো প্রজন্মের শেঠদের' দূরদৃষ্টির অভাবই এর মূল কারণ।

Pakistan: 'ব্র্যান্ড যুদ্ধে' কেন রোজ ভারতের কাছে হারছে পাকিস্তান?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Mar 28, 2024 | 9:09 AM

ইসলামাবাদ: ভারতে একের পর এক বড় সংস্থার জন্ম হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যেই বিশ্বের বাজারে জায়গা করে নিচ্ছে সেই সংস্থাগুলি। কিন্তু, ভারতের পাশেই অবস্থিত হয়েও পাকিস্তান এই ধরনের কোনও ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারছে না কেন? করাচির এক শীর্ষস্থানীয় উদ্যোগপতির মতে, ‘পুরনো প্রজন্মের শেঠদের’ দূরদৃষ্টির অভাবই এর মূল কারণ। তাঁরা যে ছোট্ট পুকুরে আবদ্ধ রয়েছেন, তা বাইরে কিছু চিন্তাই করতে পারেন না তাঁরা। পাকিস্তানে শেঠ বলতে প্রথম প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের বোঝায়। এই ব্যবসায়ীদের অক্ষমতাই ব্র্যান্ড তৈরির যুদ্ধে, ভারতের কাছে পাকিস্তানের এই পরাজয়ের কারণ বলে মনে করেন পিটিএইচ ভেঞ্চার স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতা তথা করাচি ন্যাশনাল ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রধান, ওমর আবেদিন।

ওমর আবেদিন বলেছেন, “ভারতের সেরা ৫০টি ব্র্যান্ডের ৫০তম ব্র্যান্ডটিও, পাকিস্তানের সবথেকে বড় সংস্থার থেকে বড়। যুক্তি দেওয়া যায়, যে, তাদের (ভারত) জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। আর আমাদের মাত্র ২৫ কোটি। আমাদের দেশ আয়তনে ভারতের থেকে ৫গুণ ছোট। তাই আমাদের ব্র্যান্ডগুলি পিছিয়ে আছে। কিন্তু, তাহলে বলুন, সুইডেনের মতো একটি ছোট দেশ, যারা আকারে করাচির থেকেও অনেক ছোট, তারা কীভাবে আমাদের থেকে বেশি ব্র্যান্ড তৈরি করছে? তারা ছকের বাইরে চিন্তা করতে পারে। আমাদের (পাকিস্তান) উচ্চাকাঙ্ক্ষাই সীমিত। আমরা এখনও জল, পয়ঃপ্রণালীর মতো মৌলিক সমস্যাগুলির সঙ্গে লড়াই করছি। এই অবস্থায় শেঠরা ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্টদের সমর্থন করবে, এটা আশা করাটা মূর্খামি।”

ওমর আবেদিন অবশ্য পাকিস্তানের পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবসায়িক নেতাদের নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। এই ব্যবসায়ীরা তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে, রাতারাতি কোনও পরিবর্তন ঘটবে না বলেই মনে করছেন তিনি। নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ক্ষেত্রে ভারতের উত্থানকে নকল করতে চাইছে পাকিস্তান। এর জন্য আইটি সেক্টরকে তারা মূল রপ্তানি শিল্পে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ মনে করছে, এই ক্ষেত্রে পাকিস্তানে একটি ১০০০ কোটি থেকে ১৮০০ কোটি ডলারের শিল্প গড়ে উঠতে পারে। এই লক্ষ্য অর্জনে, রাজনৈতিক অশান্তি, ইন্টারনেট বন্ধ রাখার মতো সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে চাইছে তারা। ২০২৩-এর নভেম্বরে, পাকিস্তান প্রথম এই আইটি রফতানির কৌশল প্রকাশ করেছিল। বর্তমান এই ক্ষেত্রে পাকিস্তানের আয় হয় ২৬০ কোটি ডলার। সামনের ছয় বছরে আয় ১৫০০ কোটি ডলার করার লক্ষ্য নিয়েছএ ইসলামাবাদ।