Career Tips: মাধ্যমিকের পরই চাকরি চাই? ঝটপট করে ফেলুন এই ডিপ্লোমা কোর্সগুলি
Career Tips: মাধ্যমিক পাশের পর আর পড়াশোনা না করে চাকরি করা যদি লক্ষ্য হয়, তবে করে নিন এই চাকরিমুখী ডিপ্লোমা কোর্সগুলি। দ্রুত চাকরি পাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত।
কলকাতা: অতি সম্প্রতি ফলাফল বেরিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের। অনেকেই এরপর কী পড়বেন, তা ঠিক করে ফেলেছেন। তবে, অনেক মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অনেকের ক্ষেত্রেই আরও পড়াশোনার থেকেও অগ্রাধিকার থাকে দ্রুত চাকরির পাওয়া। বর্তমানে, গোটা ভারতেই দক্ষতা ভিত্তিক চাকরি করার প্রবণতা বাড়ছে। পাশাপাশি তৈরি হয়েছে এমন কিছু ডিপ্লোমা কোর্স, যেগুলিকে বলা হচ্ছে কর্মমুখী। অর্থাৎ, এই কোর্সগুলি করলে চাকরি বা কাজ পাওয়া প্রায় হাতের মুঠোয় চলে আসে। দ্বাদশ, এমনকী, দশম শ্রেনির বোর্ডের পরীক্ষার পরও এই কোর্সগুলি করা যায়। কোর্স শেষে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। সেটাই কোনও চাকরিপ্রার্থীর স্বপ্নপূরণের সহায়ক হতে পারে। দেখে নেওয়া যাক কী কী বিষয়ে কোর্স করা যেতে পারে –
১. হোটেল ম্যানেজমেন্ট – কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সামলে এখন দৃঢ়ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে হোটেল এবং আতিথেয়তা শিল্প। এমনিতেই এই শিল্পে সুযোগ রয়েছে প্রচুর। এই ক্ষেত্রে কেরিয়ার গড়তে হলে, মাধ্যমিক পাশ করার পরই হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ডিপ্লোমা করা যায়। এই ক্ষেত্রে সহজেই চাকরি পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান থেকেই বিভিন্ন হোটেল বা আতিথেয়তা সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া হয়।
২. কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্কিং – কম্পিউটারের যুগে এখন শুধু তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নয়, যে কোনও অফিসই এখন কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক নির্ভরশীল। তাই, কম্পিউটার মেরামত এবং নেটওয়ার্কিং-এর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন। তাই, তাই হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্কিং ক্ষেত্রে সুযোগ প্রচুর, সফল কেরিয়ার গড়ার দুর্দান্ত সম্ভাবনা রয়েছে। ডিপ্লোমার পর চাকরিও পাওয়া যায় খুব সহজে।
৩. ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা – বহু ইনস্টিটিউট এবং পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে, যেগুলিতে মাধ্যমিক পাশের পরই ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা কোর্স করা যায়। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির সমতূল্য নয়। তবে, এই সার্টিফিকেট থাকলে, যে কেউ সহজেই ইঞ্জিনিয়ারিং-এর সঙ্গে সম্পর্কিত ক্ষেত্রের মধ্যম মানের চাকরি পেতে পারে।
৪. আইটিআই বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং – মাধ্যমিক পাশের পর আইটিআই বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে। ইলেকট্রিশিয়ান, ওয়েল্ডার, ফিটার, কার্পেন্টার, মেকানিক, স্টেনো, কম্পিউটার-এর মতো বিভিন্ন বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এই কোর্সটি করে কারোর অধীনে চাকরি করার বদলে, কেউ নিজের ব্যবসা শুরু করতে পারে।
৫. স্টেনোগ্রাফি এবং টাইপিং – মাধ্যমিক পাশ করে স্টেনোগ্রাফি এবং টাইপিং-এ ডিপ্লোমা কোর্স করলে সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। আদালত এবং সরকারি কার্যালয়গুলিতে স্টেনো বা টাইপিস্টের প্রয়োজন হয়েই থাকে। তাই, এই কাজের সুযোগ প্রচুর। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন আদালত এবং অন্যান্য সরকারি অফিসগুলি থেকে শূন্যপদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আবেদন করতে গেলে স্টেনোগ্রাফি জানা বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে।