UP Assembly Election 2022: নির্বাচনের আগে ‘অতি সতর্ক’ বিজেপি, কোন আসন থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী, জানেন না নিজেই!

Yogi Adityanath on Contesting in UP Assembly Election: উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি বরাবরই নির্বাচনে লড়েছি। এবারও যদি দল মনে করে, তবে আমি বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াব।"

UP Assembly Election 2022: নির্বাচনের আগে 'অতি সতর্ক' বিজেপি, কোন আসন থেকে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী, জানেন না নিজেই!
যোগী আদিত্যনাথ। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 10, 2021 | 2:20 PM

লখনউ: হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরই বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। ৪০৩টি আসনের এই বিধানসভা নির্বাচন থেকেই ২০২৩ সালের লোকসভা নির্বাচনের হাওয়াও যাচাই করে নেওয়া যাবে, সেই কারণেই কোনও প্রকার ঝুঁকি নিতে নারাজ শাসক দল বিজেপি (BJP)। দল এতটাই সতর্ক যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোন নেতা কোন আসন থেকে লড়বেন, তার সিদ্ধান্তও শীর্ষ মহলের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ(Yogi Adityanath)-কে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর সাফ জবাব, দল যদি মনে করে, তবেই তিনি নির্বাচনে লড়বেন।

শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি বরাবরই নির্বাচনে লড়েছি। এবারও যদি দল মনে করে, তবে আমি বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াব। দল যে আসন ঠিক করে দেবে, সেই আসন থেকেই লড়ব। দলের একটি সংসদীয় বোর্ড রয়েছে, সেই বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেবে কে কোন আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন।”

২০১৭ সালের মতোই এবারও বিপুল ভোটে বিজেপিই জয়ী হবে হবে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে যোগী আদিত্যনাথ জানান, ২০১৭ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বিজেপি যা কিছু বলেছিল, ক্ষমতায় আসার পর সরকার সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতিই পূরণ করার চেষ্টা করেছে। আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে রাজ্য উদাহরণ তৈরি করেছে। বিগত চার বছরে রাজ্যে কোনও দাঙ্গা হয়নি এবং সমস্ত উৎসবই শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।

নিজের নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সংশয় তৈরি করতে চাইলেও, বৃহস্পতিবারই উত্তর প্রদেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং জানিয়েছেন, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আদিত্যনাথের নেতৃত্বেই লড়বে বিজেপি। উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেই কারণেই গত মাসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বরা বৈঠকে বসেন এবং ১০০ দিনের নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি স্থির করেন।

সম্প্রতিই হিমাচল প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরের গড় হিসাবে পরিচিত মান্ডি লোকসভা আসন হাতছাড়া হওয়ার পরই অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশের পাশাপাশি গুজরাট, উত্তরাখণ্ডের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও নির্বাচন রয়েছে আগামী বছর। এই দুই রাজ্যেই ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হয়েছে, যা শাসক দলের জন্য যথেষ্ট ঝুকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।

এদিকে, উত্তর প্রদেশের লখিমপুরে কৃষক মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্র করেও কংগ্রেস সহ বাকি বিরোধী দলগুলি শাসক দলকে আক্রমণ করছে। বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিতে গত মাসের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকেই স্থির করা হয়েছিল ১০০ দিনের প্রচার কর্মসূচির, যেখানে দলীয় কর্মীরা যেন সাধারণ মানুষের কাছে ভাল বার্তা নিয়ে পৌঁছে যায়। একইসঙ্গে নির্বাচনে দলিত ও ব্রাহ্মণ ভোটব্যাঙ্ক দখলের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, উত্তর প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাধামোহন সিং, রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্রদেব সিং ও উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের মুখ্য পর্যবেক্ষক ধর্মেন্দ্র প্রধান। তারা কোন কোন দলের সঙ্গে জোট বাঁধতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। বর্তমানে কোন দলগুলি বিজেপির সমর্থনে রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে জোট বাধলে কতটা লাভ হতে পারে, সে বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে।

আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার কথা। গত নির্বাচনে ৩১২টি আসন পেয়েছিল বিজেপি, এবারে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তারা কমপক্ষে ৩৫০টি আসন পাবেন।