BJP Meeting in PM Modi’s House: গুজরাটের ‘গেম প্ল্যান’ সাজাতে রাতেই নমোর বাসভবনে হাজির অমিত শাহ, ৫ ঘণ্টা ধরে চলল বৈঠক
Gujarat Assembly Election: গুজরাটের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে দেখা করতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিআর পাটিল।
নয়া দিল্লি: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের ফল কিছুটা আভাস দেবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেরও। সেই কারণেই বিজেপির পাখির চোখ এখন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন। জল্পনা ছিল, শুক্রবারই নির্বাচন কমিশনের তরফে হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে। তবে কমিশন শুধুমাত্র হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের দিনই ঘোষণা করে। এদিকে, নির্বাচনের দিন ঘোষণার আভাস মিলতেই শুক্রবার রাতে জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল, গুজরাটের বিজেপি প্রধান সিআর পাটিল। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনেই এই বৈঠক হয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে সেই বৈঠক।
সূত্রের খবর, গুজরাটের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে দেখা করতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্য়মন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিআর পাটিল। গুজরাট নির্বাচনের নানা দিক ও নির্বাচনী প্রচারে কী কী পরিকল্পনা অনুসরণ করা হবে, তা নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় শীর্ষ নেতাদের। প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে এই বৈঠক।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষভাগেই গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। জল্পনা ছিল, গতকালই নির্বাচন কমিশন দুই রাজ্যের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে। তবে নির্বাচন কমিশনের তরফে শুধু হিমাচল প্রদেশের ভোটের নির্ঘণ্টই ঘোষণা করা হয়। চলতি মাসের শেষ ভাগেই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে অনুমান।
বিগত ২৭ বছর ধরেই গুজরাট বিজেপির অন্যতম গড়। পরপর টানা ৬টি বিধানসভা নির্বাচনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। এতদিন কংগ্রেস প্রধান প্রতিপক্ষ থাকলেও, তবে এবার বিজেপির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে উঠে এসেছে দিল্লি ও পঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টি। এর আগে ২০১৭ সালে গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল ডিসেম্বরের শুরুতে। এবারও নভেম্বরের শেষভাগ বা ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা।