Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arvind Kejriwal: ‘গুজরাট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলছে বিজেপি’, বিস্ফোরক দাবি কেজরীবালের

Gujarat Assembly election 2022: শনিবার অরবিন্দ কেজরীবাল দাবি করেন, বিজেপির তরফে তাঁকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

Arvind Kejriwal: 'গুজরাট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলছে বিজেপি', বিস্ফোরক দাবি কেজরীবালের
অরবিন্দ কেজরীবাল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 06, 2022 | 8:59 AM

নয়া দিল্লি: বছর শেষেই বিধানসভা নির্বাচন গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশে। ইতিমধ্যেই নির্বাচনের নির্ঘণ্টও ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে, ততই আক্রমণাত্বক হয়ে উঠছে রাজনৈতিক দলগুলি। গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় কনভেনার অরবিন্দ কেজরীবাল। শনিবার তিনি দাবি করেন, বিজেপির তরফে তাঁকে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর বদলে রাজ্য়ের উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়া হবে। যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কেজরীবালের দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেই জানিয়েছেন তারা।

আগামী ডিসেম্বরেই গুজরাটে বিধানসভা নির্বাচন। দুই দফায় আগামী ১ ও ৫ ডিসেম্বর গুজরাটে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ৮ ডিসেম্বর। ১৮২ আসনের এই নির্বাচনে শাসক দল বিজেপির অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে আম আদমি পার্টিই।  গুজরাটে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীবাল। শনিবার তিনি বলেন, “মণীশ সিসোদিয়া বিজেপিতে যোগ দেওয়া ও দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়ার পর, ওরা (বিজেপি) আমার কাছে আসে এবং বলে যে যদি আমি গুজরাট নির্বাচনে অংশ না নিই, তবে সত্যেন্দর জৈনকে ছেড়ে দেওয়া হবে এবং মণীশ সিসোদিয়াকেও গ্রেফতার করা হবে না।”

যদিও কেজরীবাল জানাননি যে বিজেপির তরফে কে তাঁকে এই প্রস্তাব দিয়েছিল। এদিকে কেজরীবালের এই দাবির পরই বিজেপির তরফে কড়া জবাব দেওয়া হয়। বিজেপির মুখপাত্র সইদ জ়াফর ইসলাম বলেন, “এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করতে ও বিজেপির ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। উনি (অরবিন্দ কেজরীবাল) দিল্লি ও দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। আন্না হাজারেকে ব্যবহার করে উনি ক্ষমতায় এসেছেন এবং পরে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। উনি ক্ষমতা দখলের জন্য যে কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারেন।”

উল্লেখ্য, আর্থিক তছরুপ মামলাতেই একের পর এক আম আদমি পার্টির নেতার নাম জড়াচ্ছে। গত ৩০ মে বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনে দিল্লির স্বাস্থ্য়মন্ত্রী সত্য়েন্দর জৈনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্য়দিকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার নামও দিল্লির বিতর্কিত আবগারি আইন ও সেই সংক্রান্ত আর্থিক তছরুপ মামলায় জড়িয়েছে। ইডি ও সিবিআই তদন্ত চলছে মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে। যদিও আম আদমি পার্টির অভিযোগ, দিল্লিতে আপ সরকারের উন্নয়নকাজ রুখতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্খাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি।