KMC Election 2021: পুরভোটে কোনও বাধা এলে রাজ্য অচল হবে! হঁশিয়ারি শুভেন্দু-সুকান্তের
kmc election 2021: যদিও তৃণমূল কলকাতা পুরভোটে বিজেপির অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। প্রচারে হাতে গোনা লোকজন দেখা গিয়েছে বিজেপির বলে দাবি তাদের।
কলকাতা: পুরভোটে কোনও রকম বাধা পেলে কলকাতা অচল করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরের ধরনা মঞ্চ থেকে একযোগে এমনই হুঁশিয়ারি হাঁকলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।
সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ” এখন কলকাতা পুরনিগমে মারামারি করে ভোট লুঠ করতে চায়। সমস্ত বিধায়করা লোক জড়ো করে রাস্তায় বসে থাকবেন ১৯ তারিখ। আমাদের একটা কর্মীর গায়ে যদি হাত পড়ে কোনও এজেন্টের গায়ে যদি হাত পড়ে শুভেন্দুদা থেকে শুরু করে প্রত্যেক বিধায়ক, প্রত্যেক জেলা সভাপতি রাস্তায় বেরিয়ে সেদিন পশ্চিমবঙ্গকে অচল করে দেবে। পশ্চিমবঙ্গকে স্তব্ধ করে দেবে।”
একই মঞ্চ থেকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর হুঁশিয়ারি, “এর আগে ভোটে গণতন্ত্রকে আঘাত করেছে ওরা। বিজেপি প্রার্থীর মাথায় আঘাত করেছে, কারও এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। এবার রাস্তায় বোমা ফাটিয়ে হাইরাইজ বিল্ডিংয়ের নিচে তালাচাবি লাগিয়ে দিয়ে যদি ভোট লুঠ করা হয় তা হলে গোটা রাজ্যে রাস্তার উপরে বসে পড়তে হবে। রাস্তার পাশে আর না। অচল করতে হবে এই রাজ্যকে। রাজ্যকে স্তব্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইতে ছাড়া যাবে না।”
যদিও তৃণমূল কলকাতা পুরভোটে বিজেপির অস্তিত্ব নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছে। প্রচারে হাতে গোনা লোকজন দেখা গিয়েছে বিজেপির বলে দাবি তাদের। তৃণমূলের কটাক্ষ, যারা প্রচারে লোক পায় না, তাদের আবার ভোট দেবে কে! এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গাপুজো সারা বিশ্ব জয় করেছে। বিজেপি আমায় গালাগালি দিত। কলকাতা যখন ভোট দেয়, সারা ভারত তাকিয়ে থাকে।”
অন্যদিকে এদিন প্রচারে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যারা পাঁচ ঘণ্টা ধরে পা মেলায়, তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে যে বিজেপিরূপী আবর্জনা তারা উপড়ে ফেলবে। ওরা কলকাতাকে কালিমালিপ্ত করেছিল। দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ ওরা বলত এখানে নাকি দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। আসলে মানুষকে ভুল বোঝাতে এসেছিল। মানুষ একবার জবাব দিয়েছিল। এবার আবার জবাব দেওয়ার পালা।”
এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বিজেপিকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তারা কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে যে মামলা করেছিল, তাতে সিঙ্গল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার স্পষ্ট করে বলে দেয় কেন কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন নেই।
শুধু মাত্র চারজনের অভিযোগের ভিত্তিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় এটা নয় বলেই যখন মত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের। তখন নতুন করে ডিভিশন বেঞ্চে বিজেপির যাওয়া নিঃসন্দেহে বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে কতটা মরিয়া তারা। শুক্রবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে আদালত। যদিও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে বিজেপি। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব মামলা করার অনুমতিও দেন। শুক্রবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে আদালত।
আরও পড়ুন: Habra: সন্তানের জন্ম দেবেন তরুণী, দেওয়া হয়ে গিয়েছে অসাড় করার ইনজেকশনও! তারপরই ঘটল বিপত্তি…