Municipal Election: কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে দুই বুথে চলছে ভোটগ্রহণ
Municipal Election: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে সোমবার কথা হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের। তারপরই পুনর্নির্বাচনের কথা ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কলকাতা : রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, দুটি বুথে শুরু হল ভোটগ্রহণ। রবিবার ১০৭ পুরসভার ভোট গ্রহণ চলাকালীন রাজ্যের প্রায় সব জেলা থেকেই কম বেশি সন্ত্রাসের ছবি উঠে আসে। কোথাও সাংবাদিকরা আক্রান্ত হন, কোথাও ভাঙা হয় ইভিএম। ভোট নিয়ে রাজ্য জুড়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হন বিরোধীরা। ১২ ঘণ্টার বনধেরও জাক দিয়েছিল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দুই বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য় নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ মতো, মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে দুটি বুথে। দক্ষিণ দমদম ও শ্রীরামপুরের দুটি বুথে ভোট গ্রহণ চলছে। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে চলছে সেই প্রক্রিয়া। কোভিড বিধি মানার বিষয়টাতেও নজর দিয়েছে কমিশন।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বুথে ও শ্রীরামপুর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর বুথ মাহেশ যুব কিশোর সঙ্ঘে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল সাতটা থেকে। যাতে কোনও রকম অশান্তি না হয়, তার জন্য প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে দুটি বুথেই। শ্রীরামপুরে বুথে ঢোকার সব রাস্তা কার্যত ব্যারিকেড করে রেখেছে পুলিশ। তবে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় দ্বিতীয়বারের ভোটে কম উৎসাহই চোখে পড়েছে ভোটারদের মধ্যে। খুব বেশ মানুষকে বুথমুখী হতে দেখা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মায়া মাইতি, বিজেপি প্রার্থী বীনা প্রসাদ ও সিপিএমের প্রার্থী রিতা দাস। আর শ্রীরামপুরে তৃণমূলের টিকিটে লড়ছেন শর্মিষ্ঠা দাস, বাম প্রার্থী ভারতী সেন ও বিজেপি প্রার্থী রিঙ্কু বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, প্রায় ২৪টি জায়গা থেকে ইভিএম ভাঙার অভিযোগ আসে। তারপরও কেন ২টি মাত্র বুথে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। সূত্রের খবর, যে দু’টি বুথে আবারও ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই দু’টির ভিডিয়োই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। দেদার ছাপ্পার অভিযোগও উঠেছিল। তবে কমিশন সূত্রে খবর, মূলত ভোটগ্রহণে কিছু ত্রুটি থাকার জন্যই ফের এই দুই বুথে ভোট করানো হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমার মনে হয়, রাজ্যপাল বলেছেন, তাই তাঁর সম্মান রক্ষার্থে দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন করা হচ্ছে। ইচ্ছা ছিল না। কারণ, সরকারি অঙ্গুলি হেলনে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। সরকার চাইছে বিরোধীশূন্য রাজনীতি। সমস্ত প্রার্থীকে সরিয়ে কেবলমাত্র টিএমসি থাকবে, যেটা তারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে করেছে।’ রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সাক্ষাতের পরই পুনর্নির্বাচনের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন : Adhir Chowdhury on Municipal Election: কাজই করতে পারছেন না! পুরভোট মিটতেই স্পিকারকে চিঠি লিখলেন অধীর চৌধুরী
আরও পড়ুন : Dilip Ghosh: রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গী হয়ে আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ