AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tripura: সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করতে পারবে বাম-কং জোট? নাকি সব সমীকরণ বদলে দেবে তিপ্রা মোথা?

Tripura Elections 2023: ত্রিপুরায় বিজেপিকে রুখতে পারবে বাম-কংগ্রেস? কী ভূমিকা নেবে তিপ্রা মোথা?

Tripura: সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করতে পারবে বাম-কং জোট? নাকি সব সমীকরণ বদলে দেবে তিপ্রা মোথা?
ত্রিপুরায় এবার লড়াই ত্রিমুখী
| Edited By: | Updated on: Mar 01, 2023 | 11:53 PM
Share

আগরতলা: রাত পোহালেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। দীর্ঘদিন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখলের লড়াইটা সীমাবদ্ধ ছিল দুই দলের মধ্যে – বাম এবং কংগ্রেস। তবে, ২০১৮ সালের নির্বাচন মানচিত্রটা বদলে দিয়েছে। প্রবল পরাক্রমী হয়ে উঠেছে বিজেপি। আর তারপর ২০২১ সালে নতুন আঞ্চলিক দল হিসেবে উঠে এসেছে তিপ্রা মোথা। যে দল এবার কিংমেকার হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষাই বিজেপি এবং তাদের শরিক দল আইপিএফটি সহজেই জয় পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় আরও আভাস মিলেছে দ্বিতীয় হওয়ার জন্য জোর লড়াই হতে পারে বাম-কং জোট এবং তিপ্রা মোথার মধ্যে। তবে, তারপরও রাজ্যে ক্ষমতা বদলের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বাম-কং জোট। আদৌ কি তাদের এই আত্মবিশ্বাসের কোনও ভিত্তি আছে?

আসলে, গত কয়েক বছরে রাজ্যের রাজনীতিতে একটা বড় পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। এর আগে ত্রিপুরার রাজনীতি আবর্তিত হত অর্থনৈতিক উন্নয়নকে কেন্দ্র করে। কিন্তু, এবারের ভোট হয়েছে অনেকটাই জাতিগত ভেদাভেদের ভিত্তিতে। রাজ-বংশোদ্ভূত প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মার নেতৃত্বাধীন স্থানীয় উপজাতীয় দল তিপ্রা মোথার পক্ষে উপজাতী জনতার অপ্রতিরোধ্য সমর্থন দেখা গিয়েছে। আর অ-উপজাতি সম্প্রদায়, বিশেষ করে বাঙালি হিন্দুদের বড় অংশের সমর্থন রয়েছে বিজেপির পক্ষে। এই অবস্থায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে রাজ্যের এক সময়ের দুই যুযুধান দল বাম এবং কংগ্রেস।

বস্তুত, সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের এই জোট নিয়ে ত্রিপুরার মানুষের মনে কোনও বিশ্বাসযোগ্যতাই তৈরি হয়নি। কংগ্রেস ভোটারদের মনে এখনও সিপিআইএম-এর শাসনের নেতিবাচক স্মৃতি টাটকা। বছর পাঁচেক আগেও দৈনন্দিন জীবনে তীব্র রাজনৈতিক হিংসা এবং বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের। সেটা ভুলে সকলে বামেদের ভোট দেবেন, এটা অনেক দূরের কল্পনা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। সাধারণ মানুষ বরং এই জোটকে সংশ্লিষ্ট ভোটারদের একত্রিত হওয়ার তুলনায়, দুই দলের কিছু সংখ্যক নেতার একত্রিত হওয়া হিসেবেই দেখেছে। অর্থাৎ, জোটের সমীকরণে রসায়নের অভাব রয়েছে। যেমনটা দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে।

তবে, জোট সমীকরণ বদলে দিতে পারে তিপ্রা মোথা। চাকমা, মগ-সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতি সম্প্রদায়কে এক ছাতার তলায় আনতে সফল হয়েছেন প্রদ্যোত মাণিক্য দেববর্মা। নির্বাচনের আগে বিজেপি-আইটিএফটি এবং বাম-কংগ্রেস কোনও জোটেরই হাত ধরতে রাজি হননি প্রদ্যোত মাণিক্য। তবে, তাঁকে বাম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থীর প্রচার মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, প্রাক্তন কংগ্রেসী নেতা প্রদ্যোত মাণিক্যের কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়তে কোনও আপত্তি নেই। তবে ছ্যুৎমার্গ রয়েছে বামেদের নিয়ে। কাজেই অনেকে মনে করছেন পরিস্থিতি অনুকূল হলে, বামেদের হাত ছেড়ে তিপ্রার সঙ্গে নয়া জোট সমীকরণ গড়ে তুলতে পারে কংগ্রেস। শেষ পর্যন্ত কী ঘটে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আর কয়েক প্রহর।