Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Biplab Dev: আমি এখনও ত্রিপুরায় বিজেপির মুখ, আমার কাজেই বিজেপি ফের ক্ষমতায় ফিরবে: এক্সক্লুসিভ বিপ্লব দেব

ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "একদিকে বিজেপি, বাকিরা অন্যদিকে।" বর্তমানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও কোনও আফসোস বা আক্ষেপ নেই বলে দাবি বিপ্লব দেবের।

Biplab Dev: আমি এখনও ত্রিপুরায় বিজেপির মুখ, আমার কাজেই বিজেপি ফের ক্ষমতায় ফিরবে: এক্সক্লুসিভ বিপ্লব দেব
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2023 | 3:57 PM

আগরতলা: ত্রিপুরায় (Tripura) বিজেপি-ই পুনরায় সরকার গড়বে। সকাল সকাল ভোট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এমনই দাবি করলেন সে রাজ্যের প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ বিপ্লব দেব (Biplab Dev)। TV9 বাংলা-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “একদিকে বিজেপি, বাকিরা অন্যদিকে।” বর্তমানে তিনি মুখ্যমন্ত্রী না থাকলেও কোনও আফসোস বা আক্ষেপ নেই বলেই জানালেন বিপ্লব দেব। বরং তাঁর দাবি, আজও তিনিই ত্রিপুরার মুখ।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে এখন তিনি না থাকলেও তাঁর কাজগুলোই মানিক সাহা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এবং তার নিরিখেই ভোট পাবে পদ্মশিবির, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বললেন বিপ্লব দেব। TV9 বংলাাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টত বলেন, “আমি যে কাজগুলো শুরু করেছিলাম, মানিক সাহা সেগুলোকেই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমি এখনও ত্রিপুরা বিজেপির মুখ, ভবিষ্যতেও থাকব।”

বিপ্লব দেব ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হলেও বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও দলের প্রতি কোনও আক্ষেপ নেই? TV9 বাংলার প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব দেব বলেন, “ত্রিপুরার মানুষ আমাকে ভালবাসে। আমাকে জাতীয় নেতৃত্ব যেভাবে পদ দিয়েছে তা দেশে খুব কম লোককেই দেওয়া হয়েছে। এত কম সময়ে এত পদ পেয়েছি। সভাপতি হওয়ার আড়াই বছরের মধ্যে বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, হরিয়ানার পর্যবেক্ষক। আজ পর্যন্ত ত্রিপুরার কেউ পর্যবেক্ষক হয়নি। সব পদ দল দিয়েছে। আর কত দেবে? এবার আমার দেওয়ার পালা। আমি যে কাজ করেছি তার পরীক্ষা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, বিজেপি ফিরে আসবে।”

বিজেপি যে পুনরায় সরকার গড়বে, সে ব্যাপারে কী ভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন বিপ্লব দেন। TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রচুর মহিলা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মহিলারা যে মোদীজির ভোটার, এটা উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশে প্রমাণিত। যুবরাও বিজেপির সঙ্গে আছে। তারাও বনধ, ধর্মঘটের বিপক্ষে। এছাড়া কোভিডের সময় মজুরদের মানসিকতা খুব কাছ থেকে পরখ করেছেন বলে দাবি করে বিপ্লব বলেন, “মজুররাও বিজেপির সমর্থনে। সকাল থেকে যে হারে ভোট পড়ছে, তাতে প্রমাণিত ত্রিপুরাবাসী বিজেপিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।”

এবারের ত্রিপুরার ভোট কি ত্রিমুখী লড়াই অর্থাৎ বাম-কংগ্রেস, বিজেপি এবং তিপ্রা মোথার লড়াই? ত্রিমুখী লড়াই কিনা সে ব্যাপারে বিপ্লব দেব স্পষ্ট কোনও জবাব না দিলেও অন্য দলগুলিকে কার্যত গুরুত্ব দিতে নারাজ বিপ্লব দেব। তাঁর কথায়, “বিজেপি ত্রিপুরায় শক্তিশালী কিনা সেটা ফল বলবে। বামেদের একা লড়ার শক্তি নেই। তাই তাদের চির প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছে বামেরা। মানে ওরা যে দুর্বল হয়ে গিয়েছে, তা প্রমাণিত। দুর্বল কারও নেতৃত্বে কেউ থাকতে চায় না। প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী। তাই শূন্য থেকে সরকার নিয়ে এসেছিলেন। এটা হবে, সিপিএমের কেউ ভাবতেই পারেনি। ত্রিপুরার মানুষ বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান। তাই শক্তিশালী নেতৃত্বকেই সরকারে প্রতিষ্ঠা করবে।”

এদিন সাম্যের সরকার প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতিও দিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। TV9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বামেদের কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিজেপি সাম্যের সরকার। বামেদের সময় একমুখী ব্যবস্থা ছিল। যে দল করবে, সে সুবিধা পাবে। এখন সেই ব্যবস্থা নেই। বরং যারা বিজেপি করে তারা সুবিধা পায়নি অথচ বামেদের লোকেদের আগে সুবিধা দেওয়া হয়। বিজেপির নেতারা সেটা মেনে নিয়েছেন।” এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “সাম্যের সরকার ত্রিপুরাবাসী প্রথম দেখেছে, এটা আমরা চালিয়ে যাব।”