ভোটবঙ্গে জমায়েতে লাগাম টানতে কড়া হাইকোর্ট, মানতেই হবে করোনা বিধি

ভিড় এড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে জন্য যাবতীয় দায়িত্ব নিতে হবে জেলাশাসক এবং রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে। যদি কোথাও করোনা বিধি ভঙ্গ হয়, তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন জেলাশাসক ও রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক।

ভোটবঙ্গে জমায়েতে লাগাম টানতে কড়া হাইকোর্ট, মানতেই হবে করোনা বিধি
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 13, 2021 | 7:32 PM

কলকাতা: উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নির্বাচনী প্রচারে ভিড় জড়ো হচ্ছে চোখে পড়ার মতো। রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারের কায়দা দেখে মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন যেন শুধুই একটা কাগজের টুকরো। সংক্রংমণের পরিস্থিতির উপর অবিলম্বে রাশ টানতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল একাধিক জনস্বার্থ মামলা। যার শুনানি করতে গিয়ে এ দিন কড়া পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিবি রাধাকৃষ্ণনের ডিভিশন বেঞ্চ।

জনস্বার্থ মামলাটির শুনানি করতে গিয়ে এ দিন নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচনী প্রচার হোক বা অন্য যে কোনও ক্ষেত্র, বড় ভিড় এড়াতেই হবে। আর ভিড় এড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে জন্য যাবতীয় দায়িত্ব নিতে হবে জেলাশাসক এবং রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিককে। যদি কোথাও করোনা বিধি ভঙ্গ হয়, তার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়বদ্ধ থাকবেন জেলাশাসক ও রাজ্য নির্বাচন আধিকারিক।

প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তার রায়ে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, কোনও মতেই করোনাবিধি ভঙ্গ করা যাবে না। প্রতিটি রাজনৈতিক দলকেই ভোটপ্রচার করতে হলে তার সঙ্গেই করোনা সচেতনতা ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে লিফলেট বিলি করতে হবে। প্রত্যেকের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবস্থা রাখতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুন: জওয়ানদের উপর আক্রমণ হলে গুলি চলবে, সাফ কথা বিবেক দুবের

হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, কোথাও বেশি ভিড় করা যাবে না। জেলাশাসক যদি মনে করেন, তাহলে যে কোনও বড় জমায়েত বাতিলও করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী, যদি কোনও মাঠে ১ হাজার লোক ধরে, সেখানে ৩০ শতাংশ মানুষ অনুমতি পাবেন। কমিশনের ঠিক এই গাইডলাইন মেনে চলতে হবে জেলাশাসকদের।

আরও পড়ুন: শীতলকুচির ‘প্রকৃত সত্য’ চাপা দিতে চাইছেন মমতার নিরাপত্তা অধিকর্তা, চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপির