AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মমতা বিরুদ্ধে নজিরবিহীন লড়াই, প্রথমবার নন্দীগ্রামে সিপিএম প্রার্থী

বুধবার সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মোর্চার অন্দরের আলোচনায় উঠে আসে ওই আসনে (Nandigram) সিপিএমের লড়ার সম্ভাবনার প্রসঙ্গ। কারণ, সিপিএমের (CPIM) হাতে ওজনদার প্রাথী রয়েছে। অর্থবলও রয়েছে। যার অভাব সিপিআই বা কংগ্রেস-উভয় দলেই রয়েছে।

মমতা বিরুদ্ধে নজিরবিহীন লড়াই, প্রথমবার নন্দীগ্রামে সিপিএম প্রার্থী
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
| Updated on: Mar 10, 2021 | 10:32 PM
Share

কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে (Nandigram) শেষ পর্যন্ত বামফ্রন্টের (Left Front) ‘বড় দাদা’ সিপিএম (CPIM) লড়তে চলেছে। সংযুক্ত মোর্চার অন্দরে তেমনই আলোচনা চলছে বলে খবর সূত্রের। সোমবার এ বিষয়ে সিপিএমের অন্দরে চর্চাও হয়। তবে বুধবার সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

শুরুতে নন্দীগ্রামে আসনটি আইএসএফ (ISF)-কে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল মোর্চার অন্দরের আলোচনায়। পরবর্তীতে ওই আসনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ায় পরিস্থিতি বদল হয়। পাশাপাশি, ওই আসনে বিজেপির হয়ে লড়বেন ২০১৬ সালে ওই আসন থেকে ৬৮ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হওয়া শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদানের আগে অবশ্য বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগ করেন। স্বাভাবিকভাবেই ওই আসনটি এখন রাজ্যের সব চেয়ে ওজনদার আসন বলেই পরিচিতি পেয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে মোর্চার অন্দরের আলোচনায় উঠে আসে ওই আসনে সিপিএমের লড়ার সম্ভাবনার প্রসঙ্গ। কারণ, সিপিএমের হাতে ওজনদার প্রাথী রয়েছে। অর্থবলও রয়েছে। যার অভাব সিপিআই বা কংগ্রেস-উভয় দলেই রয়েছে।

এর পাশাপাশি স্থির হয়, আইএসএফ কোনও মুসলিম প্রার্থী দেওয়ার ফলে তিনি বেশি ভোট কেটে ফেললে (পড়ুন বিজেপির সুবিধা করে দিলে) আব্বাস সিদ্দিকির দলের বিরুদ্ধে ‘ভোট কাটুয়া’র অভিযোগ উঠবে। এর ফলে আব্বাস ও তাঁর দলের থেকেও বামেদের ভাবমূর্তি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ, জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা। তাই খানিকটা সচেতনভাবেই ওই আসনটি নিজেদের হাতে নিতে চাইছেন তাঁরা। তবে আইএসএফ যদি ওই আসনের জন্য কোনও অমুসলিম প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করে, সেক্ষেত্রে সমীকরণ বদলে যেতে পারে।

সিপিএম ওই আসনে লড়লে তা একপ্রকার নজিরবিহীন হবে। কারণ, ১৯৫২ সাল থেকে ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে সিপিআই। অবশ্য ১৯৫২ থেকে ১৯৬৭ পর্যন্ত নন্দীগ্রামে দু’টি আসন ছিল। একটি নন্দীগ্রাম উত্তর, অন্যটি নন্দীগ্রাম দক্ষিণ। ওই ১৫ বছর দু’টি আসনে কংগ্রেসের দখলে ছিল। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন সিপিআই-র। পরবর্তী ১৯৬৭ থেকে ওই আসন জয় পায় তারা। পূর্ব মেদিনীপুরের ওই আসন বিজয়রথ ১৯৬৭ থেকেই অব্যাহত ছিল সিপিআইয়ের। মাঝে ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস জয়ী হয়। আবার ২০০১ থেকে ওই আসন সিপিআই-র দখলে যায়। আবার ২০০৯ উপনির্বাচন থেকে ওই আসনে জয় পেতে শুরু করে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: মালদা জেলা পরিষদ হাতছাড়া তৃণমূলের, ১৫ সদস্য গেলেন বিজেপিতে

তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ওই আসনে কোনও দিন সিপিএম-র কোনও প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। ফলে এ বার যদি কাস্তে ধানের শিষের পরিবর্তে কাস্তে হাতুড়ি তারা প্রতীক নন্দীগ্রামে দেখা গেলে তা যে এক নজিরবিহীন হবে, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের শীর্ষে মোদীর পেয়ারের রাজ্য’, নারী দিবসে নমোকে নিশানা মমতার