West Bengal Assembly Election 2021 Phase 7: এবার প্রথম ভোট দেওয়া হচ্ছে না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের

৮০ বছরের কম বয়স হওয়ায় বাড়ি এসে তাঁর ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে না। তাই এবার ভোটদান থেকে বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে (EX CM)।

West Bengal Assembly Election 2021 Phase 7: এবার প্রথম ভোট দেওয়া হচ্ছে না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের
Follow Us:
| Updated on: Apr 26, 2021 | 9:50 AM

কলকাতা: ভোটের আগে তাঁর অডিও মেসেজ উৎসাহ জুগিয়েছিল বাম নেতা-কর্মীদের। কিন্তু এবার প্রথম ভোট দেওয়া হবে না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের (Biddhadeb Bhattacharya)। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকার কারণে বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না তিনি।

কলকাতার বালিগঞ্জ কেন্দ্রের ভোটার তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শরীর আর সঙ্গ দিল না। দীর্ঘ দিন ধরেই কার্যত শয্যাশায়ী অবস্থায় গৃহবন্দি তিনি। সিওপিড থাকায় মাঝে মধ্যেই সমস্যা বাড়ে তাঁর। সাম্প্রতিককালে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। এবার তাই অসুস্থতার কারণেই বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না তিনি। এমনিতেই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে ভোট হচ্ছে রাজ্যে। তার মধ্যে আগে থেকেই অসুস্থতা থাকায় তাঁকে বুথে যেতে দিচ্ছেন না চিকিৎসকেরা।

বয়স ৮০-র বেশি হলে বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণ করার প্রক্রিয়া হয়। কিন্তু বুদ্ধবাবুর বয়স ৮০-র বেশি নয়। তাই সেই প্রক্রিয়া থেকেও বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে তাঁকে। তাই এবারই বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম ভোট দিতে পারছেন না তিনি।

ভোটের সর্বশেষ আপডেট জানতে ক্লিক করুন: West Bengal Election 2021 Phase 7 Voting LIVE

নন্দীগ্রামের ভোটের আগে প্রথমে বিবৃতি দিয়েছিলেন তিনি। পরে অডিয়ো বার্তাও দেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর। সংযুক্ত মোর্চাকে জেতানোর বার্তা দেন তিনি। গত ১০ বছরে রাজ্য কোন ক্ষেত্রে কতটা পিছিয়ে গিয়েছে সে বার্তাই দিয়েছিলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই বার্তা নতুন করে উৎসাহ জুগিয়েছিল বাম কর্মী-সমর্থকদের।

অডিয়ো বার্তাটিয় তিনি বলেছিলেন, “বাংলার প্রিয় নাগরিকবৃন্দ। বিধানসভার নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা সকলেই বুঝতে পারছি এ রাজ্যের রাজনীতিতে এ এক সন্ধিক্ষণ। বিগত বামফ্রন্ট আমলে আমরা বলেছিলাম কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ। এবং সেই চিন্তাধারা নিয়েই আমরা এগিয়েছি। কৃষিতে যেমন সাফল্য এসেছিল, তেমনই শিল্পের প্রসার ঘটতে শুরু করেছিল। বামফ্রন্ট অপসারিত হওয়ার পর তৃণমূলের সরকার রাজ্যজুড়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সমস্ত বিচারে রাজ্যের অর্থনীতিতে নেমেছে বিপর্যয়, হতাশা। কৃষিতে সঙ্কট, কৃষকদের সঙ্কট, কৃষিজাত দ্রব্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। এ রাজ্যের শিল্প শিল্পায়ন সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গেছে। গত ১০ বছরে উল্লেখযোগ্য একটি শিল্পওএ আসেনি। নন্দীগ্রামে এখন শ্মশানের নীরবতা।”