যত ভোট এগোচ্ছে, রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে ময়নাগুড়িতে
বিজেপির (BJP) অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাদের দুই কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ব্রহ্মপুর এলাকায় তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে।
জলপাইগুড়ি: ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে ময়নাগুড়িতে (Moynaguri)। এবার দুই বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ময়নাগুড়ি ব্রহ্মপুর এলাকায় তৃণমূল-বিজেপির গোলমালের অভিযোগ ওঠে। এরপর ফের রাতে ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপ্টিবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দুই দলের কর্মীদের মধ্যে ঝামেলার অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা তাদের দুই কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা ব্রহ্মপুর এলাকায় তাদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। দুই দলের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ হওয়ার পর পুলিশ দুই দলের মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে। শনিবার তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়।
বিজেপি যুব নেতা রাকেশ রায় বলেন, “শুক্রবার রাতে ময়নাগুড়ি ২১৬ ও ২০৫ নম্বর বুথে যোগদানের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে কিছু লোক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সভা শেষ করে সবাই বাড়ি চলে যায়। এরপর গভীর রাতে আমাদের দুই সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকেরা। বাড়ির সব টিন ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। আমাদের কর্মীদের মারধর করে। ভোটে হারবে দেখে ভয় দেখাচ্ছে ওরা। আমরা পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি। অথচ পুলিশ আমাদের লোককেই গ্রেফতার করেছে।”
আরও পড়ুন: তৃণমূল টিকিট দেয়নি তো ‘কুছ পরোয়া নেহি’, নির্দলের হয়েই মনোনয়ন জমা দিলেন মইনুদ্দিন শামস
অন্যদিকে তৃণমূল নেতা বিমলেন্দু চৌধুরী বলেন, “আমরা হামলার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ব্রহ্মপুর বাজারে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বিজেপি। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, উভয়পক্ষেরই মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।