বিজেপির মিছিলে হামলা, ভাঙল গাড়ি, জ্বললো বাইক! ‘মাননীয়ার যাওয়ার সময় হয়েছে’ তোপ শুভেন্দুর
এই ঘটনার জেরে নির্বাচনী সভা থেকে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে (Mamata Banerjee) তোপ দেগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "মাননীয়া রাজ্য জুড়ে ভাষা সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে খেলা হবে বলছেন। কেন বলবেন? আমি তিনজন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছি। কাউকে এমন বলতে শুনিনি। আসানসোলের সাংসদকে পর্যন্ত অপমান করেছেন মাননীয়া। ওঁর যাওয়ার সময় হয়েছে।''
পশ্চিম বর্ধমান: সপ্তম দফা নির্বাচনের আগে শেষবেলার প্রচারে নেমেছিল বিজেপি (BJP)। আসানসোলের বারাবনির বিজেপি প্রার্থী অরিজিৎ রায়ের সমর্থনে সপ্তাহান্তে পথে নামেন শুভেন্দু অধিকারী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। অরিজিতের সমর্থনে করা হয় নির্বাচনী সভাও। দলীয় সভায় যাওয়ার পথে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষের (TMC BJP Clash) জেরে এক বিজেপি কর্মীর বাইক জ্বালিয়ে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে সভা থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গেরুয়া শিবিরের (BJP) অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে বারাবনির সভায় যাওয়ার পথে গৌরাণ্ডিতে বিজেপি কর্মীদের উপর আচমকা হামলা হয়। এমনকী, তৃণমূলের (TMC) কর্মী সমর্থকেরা কালো পতাকা দেখিয়ে মারধর করে বলেও অভিযোগ। এক বিজেপি কর্মীর বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, ভেঙে দেওয়া হয় বিজেপি নেতাদের গাড়ির কাচ। গোটা ঘটনাই ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এমনটাই অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। বিজেপি প্রার্থী, অরিজিৎ রায় জানিয়েছেন, ভোটের দিনেও ইচ্ছে করে এমন সন্ত্রাস ছড়াতে পারে তৃণমূল। তাই আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবিতে লিখিত দরখাস্ত দিয়ে এসেছে পদ্ম শিবির। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এই ঘটনার জেরে নির্বাচনী সভা থেকে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোকে (Mamata Banerjee) তোপ দেগে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মাননীয়া রাজ্য জুড়ে ভাষা সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে খেলা হবে বলছেন। কেন বলবেন? আমি তিনজন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছি। কাউকে এমন বলতে শুনিনি। আসানসোলের সাংসদকে পর্যন্ত অপমান করেছেন মাননীয়া। ওঁর যাওয়ার সময় হয়েছে।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের মানসিকতাই কালো হয়ে গেছে। তাই তারা সবাইকে কালো পতাকা দেখায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে এখানে গুন্ডা কন্ট্রোল করতে পাঠায় সেই অরূপ বিশ্বাসকে আমি টালিগঞ্জে হারিয়ে দিয়েছি। আর এই জেলায় নয়-শূন্য হবে। বাংলায় দুশো পার করছে বিজেপি।”
যদিও, গেরুয়া শিবিরের (BJP) এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। তৃণমূল ব্লক প্রেসিডেন্ট অসিত সিং বলেন, ”আসানসোলের এসপি বিজেপির কথায় ওঠে বসে। কোনও শাসন নেই। আমাদের সমস্ত মিটিংয়ের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও তা বাতিল করা হয়েছে। যেখানে কমিশনের তরফে বলা হয়েছে পাঁচশো জনের বেশি লোক নিয়ে সভা করা যাবে না, সেখানে শুভেন্দু অধিকারী কী করে এত লোক নিয়ে সভা করেন! তাই আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু বিজেপির গুন্ডারা আমাদের কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, বাইক জ্বালিয়ে দিয়েছে। মানুষ সবই দেখছে। সময়ে সবই হিসেব হবে।”
আরও পড়ুন: অনির্বাণের সওয়ালের জের? অনুব্রতকে আয়কর দফতরের নোটিস, ৭দিনের মধ্যে দিতে হবে জবাব