‘আপনিও দলবদল করবেন না তো?’ প্রশ্ন শুনে অপ্রস্তুত প্রার্থী

"আপনিও আগের দুই প্রার্থীর মতো দল পাল্টাবেন না তো।'' সোমবার দলীয় বৈঠকে সরাসরি এমন প্রশ্ন শুনে কার্যত হকচকিয়ে যান কাটোয়ার কংগ্রেস প্রার্থী (Congress Candidate)।

'আপনিও দলবদল করবেন না তো?' প্রশ্ন শুনে অপ্রস্তুত প্রার্থী
কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর গাঙ্গুলি
Follow Us:
| Updated on: Mar 29, 2021 | 8:47 PM

কাটোয়া: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) প্রথম দফার ভোট শেষ। কিন্তু দলবদলের কোনও বিরাম নেই। ভোট চলাকালীনও শিবির বদলে ফেলছেন ডান, বাম সব পক্ষের নেতা-কর্মী। এই প্রেক্ষিতে কাটোয়া বিধানসভার কংগ্রেস প্রার্থীকে দলীয় বৈঠকেই শুনতে হল তিনি দলে থাকবেন কিনা। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়লেন কাটোয়ার কংগ্রেস প্রার্থী প্রবীর গাঙ্গুলি (Prabir Ganguly)। বললেন, ‘ভরসা রাখুন’।

“আপনিও আগের দুই প্রার্থীর মতো দল পাল্টাবেন না তো।” সোমবার দলীয় বৈঠকে সরাসরি এমন প্রশ্ন শুনে কার্যত হকচকিয়ে যান কাটোয়ার কংগ্রেস প্রার্থী (Congress Candidate)। কিছুক্ষণ চুপ থেকে প্রবীরবাবুর মন্তব্য, “আমার উপর ভরসা রাখুন। যাঁরা দল পাল্টেছেন তাঁদের কাটোয়ার মানুষ ত্যাগ করেছেন।”

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে কাটোয়ার দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস নেতা রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় দল ত্যাগ করে তৃনমূলে যোগ দেন। এর পরেই কংগ্রেস দলের হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পান শ্যামা মজুমদার। কিন্তু তিনিও কংগ্রেস ত্যাগ করে একুশের ভোটে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন। এদিকে এবারের নির্বাচনে বহিরাগত ও অন্তর্গত ইস্যু আলাদা করে জায়গা নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বর্ধমান শহরের বাসিন্দা প্রবীরবাবুকে কাটোয়ার প্রার্থী হিসেবে মানতে নারাজ দলের একাংশ। তাঁকে বহিরাগত বলে বিক্ষোভ শুরু করেছেন একাংশ। তাঁদের দাবি, কিছুদিন আগে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে আসা রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা হোক। যদিও দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রবীরেই আস্থা দেখিয়েছেন। তার মধ্যেও তাঁকে যেন বাজিয়ে নেওয়ার জন্য বৈঠকের মধ্যে জিজ্ঞেস করা হল, দলে থাকছেন তো?

এদিন কাটোয়ার করজগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে আসেন প্রবীর গাঙ্গুলি। কিন্তু ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে মেনে নেওয়া হবে না বলে বিক্ষোভ দেখান কর্মীদের একাংশ। কাটোয়া শহরের কংগ্রেস সভাপতি নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছেন প্রার্থী হিসাবে তিনি প্রবীরবাবুকে মানবেন না। তাঁর দাবি, রনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কেই প্রার্থী করা হোক।

আরও পড়ুন: ১০ জন লাশের আত্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে, হলদিয়া গেস্ট হাউজে কেমন একটা মনে হয়েছিল মমতার

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে প্রায় ২৭ হাজার ভোটে জিতেছিলেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু দল ছেড়ে পরে তৃণমূলে চলে যান তিনি। এদিকে ২০১৬ সালের নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতলেও ব্যবধান ছিল মাত্র ৯০০ ভোট। ২০১৯ লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে আবার কাটোয়ায় ১ হাজার ৮৫৯ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই প্রেক্ষাপটে কিছুদিন আগে তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথের ভাইপো রণজিতের দলবদল করে কংগ্রেসে আসা নিয়ে জোর শোরগোল হয়। সেই রণজিৎকে এবার কংগ্রেসের টিকিট দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন কাটোয়া কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ।