Panchayat Election 2023: প্রার্থী সৌদিতে, মনোনয়ন জমা বিডিও অফিসে, কীভাবে সম্ভব? কী বলছে কমিশন সূত্র
State Election Commission: সৌদি আরব থেকে মনোনয়ন সংক্রান্ত ইস্যুতে কমিশন সূত্রে জানা যায় যে তাদের হাতে একটি রিপোর্ট এসেছে এই বিষয়ে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি নেই বলেই দাবি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের বক্তব্য, প্রস্তাবক মারফত মনোনয়ন জমা দেওয়া যায়।
কলকাতা: সৌদি আরব থেকে কীভাবে কেউ মনোনয়ন জমা করলেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। আদালত কমিশনকে (State Election Commission) নির্দেশ দিয়েছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য। শুক্রবারই এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর তারপর আজই সন্ধেয় সৌদি আরব থেকে মনোনয়ন সংক্রান্ত ইস্যুতে কমিশন সূত্রে জানা যায় যে তাদের হাতে একটি রিপোর্ট এসেছে এই বিষয়ে। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি নেই বলেই দাবি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের বক্তব্য, প্রস্তাবক মারফত মনোনয়ন জমা দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, এদিন বিকেলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়েছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির বিধায়কদের এক প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে বেরিয়ে শুভেন্দুও জানিয়েছিলেন, কমিশন থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে রিপোর্ট আনানো হয়েছে এবং প্রস্তাবক মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। কিন্তু এখানেও প্রশ্ন রয়েছে শুভেন্দুর মনে। তাঁর বক্তব্য, তিনি কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কবে থেকে মনোনয়ন পত্র ইস্যু করা হয়েছিল। কমিশন তাঁকে জানিয়েছে, ৯ তারিখ থেকে ইস্যু করা হয়েছে। আর এখানেই শুভেন্দুর প্রশ্ন, তাহলে কি প্রস্তাবক ৯ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে ভিসা পারমিট নিয়ে দুবাইয়ে গিয়েছিলেন? তাতে কমিশন নেতিবাচক জবাব দিয়েছে বলেই দাবি বিরোধী দলনেতার। সেক্ষেত্রে মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক কীভাবে প্রার্থীর সই করালেন, তা নিয়েও ধোঁয়াশার কথা তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিরোধী দলনেতার দাবি, যিনি অভিযুক্ত (ভোটের প্রার্থী) তিনি ৫ তারিখ দেশ ছেড়েছেন। ১৬ তারিখ তাঁর ফেরার কথা। সেক্ষেত্রে প্রস্তাবক যদি নাই গিয়ে থাকেন দুবাই, তাহলে সই কীভাবে হল, সেই নিয়েই প্রশ্ন শুভেন্দুর। আর এই নিয়ে কমিশন তাঁকে কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেনি বলেই দাবি বিরোধী দলনেতার। বিষয়টির এনআইএ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেই মত তাঁর।